সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮শ’ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সততা ও আন্তরিকতার সাথে সেনাবাহিনী দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে নির্ধারিত সময়ের আগে সম্পন্ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ কারণে তাদের দিয়েই সীমান্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
সোমবার বিকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা সেনানিবাসের এম আর চৌধুরী প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। কাদের বলেন, একটি সুশৃংখলবাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামেও এ বাহিনীর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ন্যায় শৃংখলা যদি রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে থাকতো, তাহলে দেশ ও সমাজ আরো অনেক এগিয়ে যেত। তিনি রাঙামাটি পাবর্ত্য জেলার দুর্গম পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ, পদ্মাসেতু নির্মাণে সহায়তাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণে সততা ও আন্তরিকতার পরিচয় দেয়ায় সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ রাশেদ আমিন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা সেনানিবাসের এম আর চৌধুরী প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা, কেক কাটা ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অবদান এবং দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ৬টি জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং কুমিল্লা সেনানিবাসের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।