%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87

ঝিনাইদহে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই পা হারানো শাহনূর বিশ্বাসের ওপর হামলাকারী বখাটেদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে কারাবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ নজরে আসায় সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। রুলে আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

রুলে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিচালক, ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও, ও কালীগঞ্জ থানার ওসিকে রুলে বিবাদী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় গত ১৬ অক্টোবর সকাল ৮ টার দিকে শাহনূর বিশ্বাসকে রড দিয়ে পিটিয়ে, শাবল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। তার স্ত্রী অভিযোগ করেন, মাহবুর ও কামাল মেম্বার দাঁড়িয়ে থেকে শাহনূরের ডান পায়ে গুলি করে। এরপর শাবল দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালি থেকে মাংস তুলে নেয়। এ সময় মাহাবুর বলে, ‘টাকা যত লাগে আমার লাগবে। খুন করি ফেলা, মামলা মোকদ্দমা কিচ্ছু হবি না।’ এ ঘটনায় শাহনূর বিশ্বাসের ভগ্নিপতি ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদাহ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এছাড়া শাহনুর মিয়ার বড় ভাই সামাউল বিশ্বাস ওই ৭জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করেন।

তবে ইয়াকুব আলী দাবি করেন, ‘পুলিশ এ বিষয়ে একেবারেই সহযোগিতা করছে না। নানারকম টালবাহান করে সময় কাটাচ্ছে। কিছু স্থানীয় পত্রিকায় এ বিষয়ে লেখালেখি হলে তারা মূল আসামিদের বাদ দিয়ে অন্যদের গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে একজন জামিন পেয়েছে। এখন আবার সব ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। মূল আসামিরা গ্রামে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেম্বার কামালতো গ্রামেই আছে, কিন্তু পুলিশ তাকে ধরছে না বলেই অভিযোগ ইয়াকুব আলীর।’ দু’পা হারিয়ে শাহনূর বিশ্বাস এখন জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।