%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a6%95-%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87

রাজধানীতে নিখোঁজ চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদকে উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই চিকিৎসকের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।ইকবাল মাহমুদকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে তাঁর বাবা এ কে এম নুরুল আলম রিটটি করেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুবুর রহমান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিয়াউদ্দিন কাসেম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।পরে আমাতুল করীম প্রথম আলোকে বলেন, ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে নেওয়া পদক্ষেপ জানিয়ে বিবাদীদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

রুলে ইকবাল মাহমুদের সন্ধান ও উদ্ধারে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে গণ্য হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।ইকবাল মাহমুদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। ১৪ অক্টোবর তিনি রয়েল কোচে করে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় আসেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে গাড়ি থেকে নামেন। সেখান থেকে সাদা মাইক্রোবাসে করে যুবকেরা তাঁকে তুলে নিয়ে যান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানেসথেসিয়ার ওপর প্রশিক্ষণ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ইকবালের বাবা এ কে এম নুরুল আলম। তারপরও কোনো সন্ধান না পেয়ে তিনি ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ইকবালের বাবার করা রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ), গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার, র‌্যাব-২, র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব ১১-এর কমান্ডার, ধানমন্ডি থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।