আগামীকাল ২০ নভেম্বর ২০১৬, রবিবার গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে সকাল ১০টায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে এবং বেলা ৩.৩০ টায় মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে শিয়া মসজিদ হয়ে শ্যামলী সিনেমা হল পর্যন্ত প্রচারপত্র বিলি ও জনসংযোগ এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় স্বার্থে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল কয়লা প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গণসংহতি আন্দোলনের এই ধারাবাহিক জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে। দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি’র নেতৃতে এই প্রচারপত্র বিলি ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্তার এবং সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, শ্যামলী সরকার, জুলহাসনাইন বাবু ও কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ।
সুন্দরবন রক্ষায় গণসংহতির প্রচারপত্র ও জনসংযোগ কর্মসূচির বক্তব্য:
রামপাল প্রকল্প তথাকথিত উন্নয়নের নামে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি ও সম্পদ ধ্বংস করে দেশেরই ধ্বংস ডেকে আনবে।
এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতে ফসলী জমি নষ্ট করা ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল রাজীব গান্ধী পার্কের ২৫ কিলোমিটারের ভেতরে করার কারণে দুই দুইবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশেই এটা করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পে দূষণ রোধের সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা যদি নেয়া হয় তবুও যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, মার্কারিসহ বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হবে, কয়লা উঠানামা করানো, ধোয়া বাবদ যে দূষণ হবে, ড্রেজিং করে যেভাবে চ্যানেল তৈরি করা হবে তা সুন্দরবনের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
জনগণের প্রতিবাদ প্রতিরোধ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত, এমনকি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য থেকে সুন্দরবনের নাম প্রত্যাহার করে ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহ্যের তালিকায় তাকে নিয়ে যাবার হুমকি সত্ত্বেও সরকার রামপাল প্রকল্প নিয়ে তাদের একগুয়ে অবস্থান বজায় রেখেছে। সমস্ত ধরনের গবেষণা ও বিশেষজ্ঞ মতামতে যখন এটা স্পষ্ট যে রামপাল প্রকল্প সুন্দরবনের ক্ষতি করবে তখন সরকার যুক্তির পথ ছেড়ে দমন-পীড়নের পথে গিয়েছে। একদিকে তারা জনগণকে দমন-পীড়ন করছে অন্যদিকে কোম্পানির প্রতিনিধির ঔদ্ধত্য ও মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
ভারতের বাতিল প্রকল্প প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে । অথচ সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের আধার, সুন্দরবন আমাদের ফুসফুস এবং এই সুন্দরবনই আমাদের দুর্যোগ থেকে বাঁচায়। এবং একইসাথে সুন্দরবন প্রত্যক্ষভাবে ১২ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করে।