%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%81-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও গাইবান্ধার ঘটনায় সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা। বর্তমান অবস্থায় তিনি সংখ্যালঘু সব গোষ্ঠীকে সতর্ক এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সিবিসিবি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।সন্তু লারমা বলেন, দেশের নীতিনির্ধারকেরা মিথ্যার বেসাতি খুলে বসেছেন। নাসিরনগরের নির্মমতা, গাইবান্ধার নির্মমতা সরকারের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আদিবাসীদের নতুন করে নিজেদের অধিকার আদায়ের কথা ভাবতে হবে।নাসিরনগর ও গাইবান্ধার ঘটনাকে কদর্য সাম্প্রদায়িক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে অনুষ্ঠানে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা এরশাদ আর জিয়ার জুতা পায়ে পরে নিয়েছেন। সেই জুতা পরেই তিনি এখন দেশ চালাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা এ জন্য হুমকির মুখে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, সংখ্যালঘুরা বলছেন, তাঁদের অন্তত ভারতে চলে যেতে দিতে। তাঁদের ওপর নির্যাতনের মাত্রাটা কী পরিমাণ, তা তাদের এ কথা থেকেই প্রতীয়মান। তাঁদের নিজ দেশে পরবাসী করে রাখা হয়েছে।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের অষন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আদিবাসীরা এগিয়ে এসেছিলেন, এটা রাষ্ট্রকে সব সময় মনে রাখতে হবে। তাঁদের দেশপ্রেম নিয়ে কখনই প্রশ্ন তোলা যাবে না। তাঁদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, আদিবাসীদের মতো সমতলের সংখ্যালঘুদের সমস্যা একই। এ সমস্যা ভূমির। এই সমস্যা অস্তিত্বের। দেশে যত দিন ককটেল সংবিধান থাকবে, তত দিন সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের অবস্থাও সংকটাপন্ন হবে। ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে পারলেই সমস্যা সমাধান সম্ভব।তিনি বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচন সামনে আরও সহিংসতা নিয়ে আসছে। মাঠে থেকে সবাইকে তাই সজাগ থাকতে হবে।