%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a7%8e%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0

যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমেই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, বদরুল ইমাম, ইফতেখারুজ্জামান, খুশী কবির ও রুহিন হোসেন প্রিন্স।জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুন্দরবন তথা রামপাল নিয়ে কোনো অযৌক্তিক বক্তব্য রাখা হচ্ছে না। বরং যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমেই আমরা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করছি।

তিনি বলেন, জনস্বার্থ ও সুন্দরবনবিরোধী সব অপপ্রচার বন্ধ করে, জনদাবি মেনে নিয়ে সুন্দরবনকে বাঁচানোর স্বার্থে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করতে হবে। সুলতানা কামাল বলেন, সুন্দরবন প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান আর জলবায়ু প্রশ্নে অবস্থান পরস্পরবিরোধী। কারণ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে হলে সুন্দরবনকে অক্ষত রাখা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এটি জাতিসংঘ ও সারা বিশ্বের আকাক্ষা।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন নিয়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণামূলক। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য। যা বন্ধ করা উচিত।

কামালরামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রচারিত সরকারি বিজ্ঞাপনকে বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণামূলক বলে মন্তব্য করেছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল। তিনি বলেছেন, মিথ্যা তথ্যের ওপর এই বিজ্ঞাপন নির্মিত হয়েছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে লিখিত বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, ‘সার্বিক বিচারে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই কয়লাভিত্তিক প্রকল্প। এটি কোনো যুক্তিতেই সারা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিসরে কোনো জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং কোনো দিনই তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

সুন্দরবনকে বাংলাদেশের‘প্রাকৃতিক বর্ম উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই বন তার বুক পেতে দিয়ে আমাদের লাখ লাখ মানুষ, প্রাণ ও সম্পদকে রক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। অথচ সেই সুন্দরবনকে সরকারি উদ্যোগে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো আত্মঘাতী ও স্ববিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আসলে সুন্দরবন প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান আর জলবায়ু প্রশ্নে তার অবস্থান ও আকাক্সক্ষা পরস্পরবিরোধী। কারণ, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে হলে সুন্দরবনকে অক্ষত রাখা আমাদের প্রধান ও পরম দায়িত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রামপাল নিয়ে ইউনেসকোর যে প্রতিবেদন, তা জাতিসংঘের মহাসচিব অনুমোদন করেছেন। তাদের প্রতিবেদন যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিরুদ্ধে,সেটা প্রমাণিত। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছেই বলে জাতিসংঘ এটা করেছে।