%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8b-%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a3%e0%a7%80-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%a3-%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%9a%e0%a6%bf

গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেল (৩০) রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে দাবি করেছে র‌্যাব। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারের বিএসইসি ভবনের দশম তলায় র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব ১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। লে. কর্নেল মাসুদ জানান, আটককৃত রুবেল এ মামলার অভিযুক্ত আসামি এবং রামপুরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রুবেলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও ডাকাতির অভিযোগে মোট ৯টি মামলা রয়েছে।র‌্যাবের এ অধিনায়ক জানান, ওই গারো তরুণী রাজধানীতে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। গত ২৫ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি তার হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার একটি মেসে যান। এ সময় মেসের ম্যানেজার হানিফ মেসের অন্য ভাড়াটিয়ার উপস্থিতিতে হবু স্বামীকে ১ নভেম্বর মেস ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। তিনি বলেন, তখন ওই মেসের বাসিন্দা সালাহউদ্দিন সালু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পূর্বপরিচিত স্থানীয় এক সন্ত্রাসীকে মেসে ডেকে আনেন। এরপর সন্ত্রাসীরা ভিকটিমের হবু স্বামীকে মেসে নারী আনার অজুহাতে ঘটনার আপসরফা বাবদ ফাঁদে ফেলে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেন।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, রুবেলকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রুবেল উত্তর বাড্ডার মিশ্রীটেলা এলাকার মফিজ উদ্দিন ওরফে মফু মিয়ার ছেলে।তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসী ঘটনায় বাড্ডা থানায় আটটি এবং রামপুরা থানায় অস্ত্র আইনের একটি মামলা আছে বলে র‌্যাব-১ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এর মধ্যে একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুবেলের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলায় পরোয়ানাও রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত ২৫ অক্টোবর গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছিল। ওইদিন রাতেই পুলিশ সালাউদ্দিন মিনা নামে রুবেলের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।মামলার অভিযোগে করা হয়েছে, ঘটনার দিন বাড্ডার পুরাতন থানা রোডের ৬ নম্বর লেনের একটি বাসার সামনে থেকে প্রায় ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।মামলা দায়েরের পর ওই তরুণীর বরাত দিয়ে বাড্ডা থানার এসআই ফারুক আলম জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন বিকালে ওই বাসায় তরুণীটি রিপন নামে তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

রিপনসহ পাঁচ ছয়জন গারো ব্যাচেলার ওই বাসায় থাকেন। রিপনের সঙ্গে দেখা করে তরুণী আগে বের হন, রিপন বের হন একটু পরে।এসআই ফারুকের ভাষ্য, ওই বাসার সামনেই রুবেল দাঁড়ানো ছিলেন। তরুণী বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুবেল তাকে ভয় দেখিয়ে পাশে একটি বস্তি ঘরে নিয়ে সবাইকে বের করে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।তরুণীকে নিয়ে যাওয়ার সময় রিপন বাধা দিলে রুবেল তাকে ভয়ও দেখান।গতবছর ২১ মে কুড়িল-বিশ্বরোডে এক গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মাইক্রোচালকসহ দুইজন।এরপর জোরপূর্বক ভিকটিমকে পাশের হাজী মোশাররফ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির একটি রুমে নিয়ে যান এবং রুবেল তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় তার অন্য সহযোগী আল-আমিন ও সালাহ উদ্দিন সালু বাইরে অবস্থান করে রুবেলকে সহযোগিতা করেন। গারো সম্প্রদায়সহ স্থানীয়রা ধর্ষক ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে পরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।