%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a6%95-%e0%a6%8f%e0%a6%ae-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a8প্রখ্যাত শিশু চিকিৎসক এম আর খান আর নেই। আজ শনিবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজের সেন্ট্রাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর। বেশ কিছুদিন যাবত ডা. এম আর খান বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে দ্বিতীয় জানাযার পর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। তার প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাতক্ষীরায় দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯২৮ সালের ১ আগস্টে সাতক্ষীরায় এম আর খানের জন্ম। বাবা আলহাজ্ব আব্দুল বারী খান, মা জায়েরা খানম। তার স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম আনু।

১৯৫২ সালে কলিকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন এম আর খান। এরপর আবার বিদেশে উচ্চ শিক্ষা লাভে শেষে দেশে ফিরে ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর অব মেডিসিন পদে যোগ দেন। এরপরই শুরু হয় তার চিকিৎসাজীবনের পথচলা। ১৯৭৮ সালের নভেম্বরে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে অধ্যাপক ও পরিচালকের পদে যোগদান করেন। একই বছরে পুনরায় তিনি আইপিজিএমআর-এর শিশু বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে অধ্যাপক ডা. এম আর খান তার সুদীর্ঘ চাকরী জীবন থেকে অবসর নেন।

পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি মা ও শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট থেকে শিশু স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অনুদান, হাসপাতাল ও স্কুল প্রতিষ্ঠা, মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে ভালো অবদানের জন্য দেয়া হয় ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক।

কর্মজীবনে অনেক স্বীকৃতিও পেয়েছেন এম আর খান। শিক্ষা, চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দুর্গত অসহায় মানুষের সেবাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ডা. এম আর খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী তাকে স্বর্ণপদক দেয়।