গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করতে স্থানীয় প্রভাবশালী নানাভাবে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে তারা ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের কুপিয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধার আহত স্ত্রী ও ছেলে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ফলে ওই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা এখন আতংকের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। নিরাপত্তা চেয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার ডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন ওরফে সামিউল গিয়াস ও পুলিশ জানায়, প্রায় ২৮/২৯ বছর আগে একখন্ড জমি ক্রয় করে তা ভোগ দখল করে আসছেন মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই জমি থেকে মুক্তিযোদ্ধাকে উচ্ছেদ করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ওই প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় জহিরুল হক ও তার লোকজন মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা হুমকী ও ভয়ভীতি দিতে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বৈঠকের আয়োজন করা হলেও সমঝোতা হয় নি। এর জের ধরে গত ২১ অক্টোবর জহিরুল হক ও তার ছেলের আরিফের নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গিয়াস উদ্দিনকেসহ তার স্ত্রী রওশন আরা ও ছেলে ইমরান আহম্মেদকে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা বাড়িতে লুটপাট করে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও ছেলে এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এঘটনায় গিয়াস উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করায় আসামী পক্ষের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা মামলা প্রত্যাহার ও জমি থেকে উচ্ছেদ করতে গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারকে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছে। তারা নানাভাবে ওই পরিবারকে হয়রানী করছে। এর আগেও জহিরুল হক লোকজন নিয়ে ওই জমির গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার এখন আতংকের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। এব্যাপারে নিরাপত্তা চেয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন জহিরুল হক ও তার পরিবার।
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।