মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল তদন্তের ঘোষণা দিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই নিয়ম ভেঙে থাকতে পারে। এ অভিযোগ করেছেন সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি হ্যারি রেইড। ডেমোক্র্যাট রেইড বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে প্রভাব ফেলার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা লঙ্ঘন করেছেন জেমস কোমি।
এফবিআইয়ের প্রধান কোমি গত শুক্রবার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারির ব্যক্তিগত ই- মেইল সার্ভারে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদানের ব্যাপারে তাঁরা আবার তদন্ত করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাঁরা নতুন কিছু ই-মেইলের সন্ধান পেয়েছেন, যা ওই তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর রেইড এক চিঠিতে কোমির বিরুদ্ধে এ-ও অভিযোগ করেন যে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর শীর্ষ উপদেষ্টার সঙ্গে রুশ সরকারের যোগাযোগের বিস্ফোরক তথ্য গোপন করেছেন। রেইড এক বিবৃতিতে বলেন, জনগণের ওই তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। আমি আপনাকে কয়েক মাস আগে এসব তথ্য প্রকাশের জন্য লিখেছিলাম।
গত জুলাই মাসে হিলারির ই-মেইল তদন্ত বাদ দেওয়া হয়। হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও সে সময় আনা হয়নি। চিঠিতে রেইড বলেন, এফবিআই প্রধান নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার জন্য তদন্তের এই দ্বৈত নীতির অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে কোমি হ্যাচ অ্যাক্ট (হ্যাচ আইন) লঙ্ঘন করেছেন। এই আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন কোনো কর্মকা- সরকারি কর্মকর্তারা করতে পারেন না।হ্যাচ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের তদন্তকারী অফিস অব স্পেশাল কাউন্সিলে গত রোববার এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা ল স্কুলের অধ্যাপক রিচার্ড পেইন্টার। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের নীতিগত বিষয়ের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।