গাজীপুরের শ্রীপুরে চার বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সোমবার এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতের নাম বোরহান উদ্দিন (২৪)। সে শ্রীপুরের হ্যামস্ পোশাক কারখানার শ্রমিক ও জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার শিবহাটা গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুরের দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় স্ত্রী ও ৪ বছর বয়সের শিশু কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় হ্যামস্ পোশাক কারখানায় কাজ করেন নেত্রকোনার রব মিয়া। একই পোশাক কারখানার কর্মী বোরহান একই বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে। বোরহান রব মিয়ার ওই শিশু মেয়েকে বিভিন্ন সময় আদর করে কোলে নিত। বোরহানকে মামা বলে ডাকত শিশুটি। রবিবার সন্ধ্যায় আদর করার ছলে বোরহান ওই শিশুকে বাসা থেকে কোলে তুলে বাড়ির পাশের একটি কচু খেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু সেখান থেকে বোরহান শিশুটিকে বাড়িতে রেখে যায়। রাতে শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সোমবার ভোর রাতে শিশুটি প্রশ্রাব করতে গিয়ে গোপনাঙ্গে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে। এসময় শিশুটি তার মাকে জানায় বোরহান মামা তাকে সেখানে ব্যাথা দিয়েছে। পরে অসুস্থ্য ওই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এঘটনায় রব মিয়া শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ করে। এদিকে থানায় অভিযোগের সংবাদ পেয়ে সোমবার দুপুর একটার দিকে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় পুলিশ বোরহানকে আটক করে।
এব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার এসআই সৈয়দ মো. আজিজুল হক জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বোরহানকে আটক করেছে।
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
