%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%95-%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%9b

প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে অসোমবার। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি। দীপন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে।প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার প্রথম বার্ষিকীতে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার সহকর্মীরা। সোমবার সকালে দীপনের শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সহকর্মীরা এ মানববন্ধন করেন। মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।গত বছরের ৩১ অক্টোবর মার্কেটের ভেতরে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে খুন হন স্বত্ত্বাধিকারী ও সমিতির তখনকার যুগ্ম সম্পাদক দীপন।

মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান বলেন, দীপন খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও চার-পাঁচজন হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তারা বলছে।কিন্তু ঘটনার এক বছর পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার চার্জশিট দেয়নি। আমরা অবিল¤ে॥^ চার্জশিট দিয়ে বিচার শুরুর দাবি জানাচ্ছি।দীপন স্মরণে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা সোমবার সকাল থেকে কালোব্যাজ ধারণ করেন; মার্কেট মসজিদে তার জন্য কোরআন খতম হয়।আসরের নামাজের পর মার্কেটের মসজিদে দীপনের জন্য দোয়া হবে বলে জানান সমিতি সভাপতি নাজমুল।মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সমিতির কোষাধ্যক্ষ কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরসালিন আহমেদ মিথুন, শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবীন আহসান বক্তব্য দেন।

আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দীপন হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন। তাঁরা বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টার বহন করেন। ধারণ করেন কালো ব্যাজ। মানববন্ধনে দীপনের স্ত্রী, বন্ধু, শুভাকাঙ্খ্ক্ষী, প্রকাশক ও দোকান মালিকেরা বক্তব্য দেন।গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ মার্কেটে নিজের প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।পুলিশ বলছে, দীপনকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক জঙ্গি। তাঁর ছবি ও নাম পেলেও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এখনো পুলিশ উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

দীপন হত্যাকা-প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে সোমবার । কিন্তু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি।পুলিশ বলছে, দীপনকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক জঙ্গি। তাঁর ছবি ও নাম পেলেও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এখনো পুলিশ উদ্ঘাটন করতে পারেনি। তাঁকেসহ বিভিন্ন ব্লগার ও প্রকাশক হত্যায় জড়িত ছয়জনের ছবি এর আগে পুলিশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করে এবং তাঁদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করে।গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ মার্কেটে নিজের প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন প্রায় কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ ওরফে টুটুল ও লেখক সুদীপ্ত কুমারসহ তিনজনকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) মামলা দুটির তদন্ত করছে। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, উভয় ঘটনাতেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (বর্তমান নাম আনসার আল ইসলাম) জড়িত। সংগঠনটির অন্যতম নেতা সেলিমই দীপন হত্যা ও আহমেদুর রশীদকে হত্যাচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী। জঙ্গি দলটিতে সেলিমের অনেকগুলো ছদ্মনাম রয়েছে। তিনি ইকবাল, মামুন ও হাদি-২ নামেও পরিচিত।সেলিমডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুটি ঘটনায় সেলিমসহ অন্তত ২০ জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে ছয়জনের ছবি পেয়েছে পুলিশ। চলতি বছরের ১৮ মে এই ছয়জনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। এই ছয়জনের মধ্যে পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন আবদুস সবুর ওরফে সামাদ ওরফে সুজন ওরফে সাদ, মইনুল হাসান ওরফে শামীম ওরফে সামীর ও সুমন পাটোয়ারি। আর শরিফুল ওরফে মুকুল রানা নামে আরেকজন গত ১৮ জুন রাতে ঢাকার খিলগাঁওয়ে ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন,এই শরিফুল প্রকাশক আহমেদুর রশীদ হত্যাচেষ্টায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। এই শরিফুল এবং গ্রেপ্তার থাকা সবুর ও মইনুল প্রকাশক দীপন হত্যায় অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। সবুর ও মইনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ গত শনিবার বলেন, দীপন হত্যা মামলা ও আহমেদুর রশীদকে হত্যাচেষ্টা মামলা হামলায় এখন পর্যন্ত ছয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দুই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জঙ্গিনেতা সেলিমের নাম পাওয়া গেলেও তাঁর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানা যায়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা গেলে উভয় ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা যাবে।জানতে চাইলে দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ডিবির কর্মকর্তারা তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আশাবাদী, ডিবি আন্তরিক হলে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। এ ছাড়া ডিবির অপর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ডিবির কাছে তথ্য রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ও সমকামী অধিকার কর্মীসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে হত্যা করেছে। বেশির ভাগ ঘটনায়ই সেলিম জড়িত রয়েছেন। তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কথিত সামরিক শাখার প্রধান মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান ও তাত্বিক নেতা মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।