গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাঈল এই তারিখ ধার্য করেন।এই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আলী আসগর বলেন, এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত আগামী ৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান।
গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন খন্দকার মোজাম্মেল হক। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। চলতি বছরের ৫ ফেব্র“য়ারি মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এই মামলায় জেসমিনকে গত বছর ৩ অক্টোবর মালিবাগে তাঁর বাবার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়। শাহাদাতকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে এই দম্পতি জামিনে মুক্তি পায়।অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাহাদাত ও নিত্যর সাত থেকে ১৪ বছরের কারাদন্ড হতে পারে।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদত মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কয়েক ঘণ্টা পর খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের এক সাংবাদিক পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের ওই গৃহকর্মীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন।পরে ওই কিশোরী থানায় শাহাদত ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।উদ্ধারকারী সাংবাদিক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।এরপর পুলিশ জেসমিনকে গ্রেপ্তার করে; শাহাদত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২৯ ডিসে¤॥^র মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক শফিকুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
ডিসেম্বরেই জামিনে কারামুক্ত হন শাহাদাত ও তার স্ত্রী। গত ২২ ফেব্র“য়ারি একই বিচারক এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে যুক্তিতর্কের শুনানিতে আলী আসগর স্বপন তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু আদালতে বলেন, গৃহকর্মী রাগ করে আসামিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আসামিদের হাতে সে কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়নি।মামলার বিচারের সময় রাষ্ট্রপক্ষে সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হলেও আসামিপক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিল না।