ঢাকার গুলিস্তানে চার দিন আগে ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের মধ্যে যে দুই ছাত্রলীগ নেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছিল, তাদের বহিষ্কার করেছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থক এই সংগঠনটি।ওই দুইজন হলেন- ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন এবং ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান।
সোমবার ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের কোনো কারণ সেখানে দেখানো হয়নি। সোমবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মচারী ও একদল যুবকের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার সময় সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এল।
দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।গুলিস্থানে বৃহস্পতিবার অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় ডিএসসিসি কর্মচারীদের সঙ্গে একদল যুবকের সংঘর্ষের সময় সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানকে পিস্তল ও রিভলবার হাতে দেখা যায়। তাঁদের একজনকে ফাঁকা গুলি ছুড়তেও দেখা যায়। তবে পরে সাব্বির হোসেন দাবি করেন, তিনি সেখানে গেলেও তাঁর সঙ্গে কোনো অস্ত্র ছিল না।
গত ২৭ অক্টোবর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়।এ সময় ঢাকার গণপরিবহন চলাচলের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র গুলিস্তানে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাস্তায় মানুষের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক; আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট।সংঘর্ষের মধ্যে গোলাপী ফুলহাতা সার্ট পরিহিত সাব্বির রহমানকে রিভালবার উচিয়ে ফাঁকা গুলি করতে দেখা যায়। সে সময় সাব্বিরের পাশে নীল টি-শার্ট পরিহিত আশিকের হাতে দেখা পিস্তল। সেই ছবি পরদিন সংবাদত্রে ছাপা হয়।
ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা সেদিন হকারদের পক্ষে সংঘর্ষে অংশ নেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর।পত্রিকায় ছবি আসার পর ওই ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে কোনো কথা বলতে চাননি। তাদের একজন জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।