দীর্ঘদিন চেষ্টা করে গ্রেফতার করতে না পারলেও পুলিশের দাবি দেশেই আছে দুই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা নূরুল ইসলাম মারজান এবং চাকুরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। তারা জঙ্গিদের নতুন করে সংগঠিত করে নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পালিয়ে থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ, জঙ্গিদের সংগঠিত করা ছাড়াও অর্থ ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে শীর্ষ জঙ্গি নেতা মারজান এবং মেজর জিয়া- এমন তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে থাকলেও তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ।
তাই তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সাংগঠনিক ছদ্মনামে তারাই জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে সতর্ক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান জানান, মারজান ও জিয়াকে গ্রেফতারের জন্য ইতোমধ্যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানবন্দর এবং সীমান্তসহ সবগুলো চেকপয়েন্টে এ ব্যাপারে সতর্ক করা আছে।
মারজান ও জিয়ার সন্ধানে রাজধানী ও তার আশপাশে সম্ভাব্য জঙ্গি আস্তানা খুঁজছেন গোয়েন্দারা। তাদের খোঁজে দেশের জঙ্গিপ্রবণ ৫ জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, “আমরা মনে করি মারজান ও জিয়া এখনো দেশেই আছে। যদি দেশে না থাকে তবে কীভাবে তাদের গ্রেফতার করা যায়, সেটারও ব্যবস্থা রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আনসার আল ইসলাম এবং নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়লেও তারা নতুন করে সংগঠিত হয়ে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্য দফায় দফায় দফায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে।