ধর্ষণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক আদিবাসী নাবালীকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ, ৩দিন পর উদ্ধার করে থানায় মামলা দায়ের করেছে কন্যার পরিবার। ধর্ষীতার মা মালতি মাহালী জানান, তার নাবালিকা কন্যাকে নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ভারশো গ্রামের মসিদুর রহমানের ছেলে হাসান (২০) নাচোল ইউপির রাজবাড়ী মহাম্মদপুর (দিঘিপাড়া) গ্রামের আজাহারের ছেলে এরশাদ (৩০) এর সহযোগিতায় গত ২০ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সুকানদিঘি গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। অপহরণের ৩দিন পর নওগাঁর ভারশো ইউপির চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে।

গত ২৩ অক্টোবর মান্দা থানার ওসি নাচোল থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে অবশেষে সোমবার দুপুরে নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দিন অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠান। ধর্ষীতার মা এর অভিযোগ, মহাম্মদপুর দিঘিপাড়ার আজাহারের ছেলে এরশাদ তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে হাসানের হাতে তুলে দেয়। মুসলমান এরশাদ সাঁওতালের মেয়েকে বিয়ে করে মুসলমান না করেই সুকানদিঘি সাঁওতাল পাড়াতে শশুর কবিরাজের বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে আদিবাসী নারীকে জিম্মি করে টাকা আদায় এবং একাধিক নারী পাচার ও অপহরণের অভিযোগ আছে। অভিযুক্ত এরশাদের পিতা আজাহার আলী তার ছেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দিন জানান, আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং অপহরণ মামলা হয়েছে, আসামীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে, ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। ।