%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%8e-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%86

সিরিয়ার আলেপ্পোতে মানবিক কারণে অস্ত্রবিরতি বলবৎ থাকলে শুক্রবার সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রথমবারের মত লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সহিংসতা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও সেখানকার বেসামরকি নাগরিকদের নগরী ছাড়ার আহ্বানে সাড়া দেয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। এদিকে রাশিয়া অভিযোগ করেছে, বিদ্রোহীরা পূর্বাঞ্চলের এ নগরী ছাড়তে বেসামরিক নাগরিকদের বাধা দিচ্ছে।

অন্যদিকে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, রাশিয়ার বিমানবাহী একটি রণতরী আলেপ্পোতে হামলায় যোগ দিতে পারে। এটা উত্তর সাগর থেকে যাত্রা শুরু করেছে এবং বর্তমানে ব্রিটেন উপকূলের অদূরে অবস্থান করছে।উত্তর সাগরে ব্রিটিশ যুদ্ধ জাহাজগুলো সবসময় রাশিয়ার রণতরীর অনুসরণ করে চলেছে। অনেকে এ পরিস্থিতিকে অনেকটা ইঁদুর-বিড়াল খেলার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চল থেকে বেসামরিক নাগরিক সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় সেখানে একতরফা অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছে।তবে এর কিছুক্ষুণ পর একটি ক্রসিং পয়েন্টের চারপাশে বন্দুক ও গোলা বিনিময় হয়েছে। সরকারি সংবাদ সংস্থা সানার খবরে বলা হয়েছে, মানবিক অস্ত্রবিরতি বাধাগ্রস্ত করতে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ওই এলাকাকে নিশানা বস্তু করছে।তবে বিকেল নাগাদ সংঘর্ষ প্রশমিত হয় এবং পূর্বাঞ্চল শান্ত হয়ে আসে।বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী আলেপ্পোর চারপাশে ঘুরে ঘুরে লউডস্পিকারে বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্রবিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে নগরী ত্যাগ করার আহবান জানায়।রাশিয়ার প্রতিরা মন্ত্রণালয় থেকে প্রচারিত বিভিন্ন এক্সিট করিডরের লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, ফাঁকা রাস্তাগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স ও বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে।সরকার নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলে থেকে এএফপি’র এক আলোকচিত্রী জানান, আহত আট ব্যক্তি লড়াইয়ের মধ্যেও বুস্তান আল-কসর ক্রসিং হয়ে নগরী ছেড়েছেন।তবে এএফপি’র অন্যান্য সংবাদদাতারা পূর্বাঞ্চলের চারটি ক্রসিং পয়েন্ট ঘুরে দেখেছেন এবং তারা ওইসব ক্রসিং হয়ে লোকজনকে এলাকা ত্যাগ করতে দেখেননি।২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত তিন লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং আলেপ্পোর সহিংসতাকে অন্যতম সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নগরীতে প্রায় আড়াই লাখ লোক এখনো আটকা পড়ে রয়েছে।