গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় একটি দোতলা বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত সাতজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এ বিষয়ে জানিয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাতজনের ছবি প্রকাশের পর নিহতদের স্বজনরা গাজীপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসে ছবি দেখে তাঁদের শনাক্ত করেন।
পরিচয় জানা তিনজনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার বংশাল এলাকার ইব্রাহিম। তিনি প্রায় দুই মাস নিখোঁজ ছিলেন। দ্বিতীয়জন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া নব্য জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডার সিরাজগঞ্জের ফরিদুল ইসলাম আকাশ। তাঁর পরিচয় আগেই জানা গেছিল।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সাত জঙ্গির ছবি ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রকাশ করার পর অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন। আমরা তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাশ স্বজনদের দেওয়া হবে।’
গত ৮ অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় একটি বাড়িতে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সাতজন এবং হাড়িনাল এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হন। একই দিন গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নয় মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। গুলিতে সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরে তাদের লাশ ঢাকার কুর্মিটোলা হাসাপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন। এ ছাড়া হাড়িনালে দুই জঙ্গি নিহতের ঘটনায় র্যাবের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় নিহত দুই জঙ্গিসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে কালীগঞ্জ থেকে বাড়ির মালিকের স্ত্রী সালমা বেগম ও মালিকের ছোট ভাই কলেজ শিক্ষক ওসমান আলী সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তথ্য গোপন করে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।