%e0%a7%ad%e0%a7%a9%e0%a7%ad-%e0%a7%ae%e0%a7%a6%e0%a7%a6-s2-aja

অগ্রসরমান এয়ারলাইন্স ‘ইউএস-বাংলা’র বহরে যুক্ত হয়েছে প্রথম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (S2-AJA) এয়ারক্রাফট। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫৮ আসনবিশিষ্ট এ বোয়িংটির অবতরণের মধ্য দিয়ে দিগন্তজয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইউএস-বাংলা। সোমবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নেদারল্যান্ড থেকে রওনা দিয়ে দুবাই হয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বোয়িংটি। এসময় উপস্থিত ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা করতালির মাধ্যমে বহরে যুক্ত হওয়া নতুন এয়ারক্রাফটিকে গ্রহণ করেন।

বিমানবন্দরে প্রথম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (S2-AJA) এয়ারক্রাফটি রিসিভ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে অত্যাধুনিক এ বোয়িংটির শুভকামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৪ সালে ইউএস বাংলা যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১৫ সালে দেশের মধ্যে এয়ারলাইন্স সেবার তালিকায় সেরা হয়। এছাড়া আমরা বেস্ট ডোমেস্টিক এয়ারের গৌরব অর্জন করেছি।

তিরি আরও বলেন, বিশ্বমানের এ এয়ারক্রাফটি আমাদের বহরে যুক্ত হলো। পর্যায়ক্রমে মাসকট, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর রুটে এ বছরে ফ্লাইট পরিচালনা করবো। এ এয়ারক্রাফটি ইকোনোমি ক্লাসে ৩২ ইঞ্চি সিট ক্যাপাসিটি। ফলে যাত্রীরা সহজেই মুভ করতে পারবেন। এছাড়া ৮ডি বিজনেস ক্লাস সিট থাকবে। যাত্রীদের কর্মস্থল ও বাসা থেকে রিসিভ এবং ড্রপ করার সুবিধাও থাকছে।

এয়ারলাইন্সটির ডিজিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ইউএস-বাংলা’র বহরে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (S2-AJA) এয়ারক্রাফটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। এখন থেকে আরও বড় পরিসরে আকাশপথের যাত্রীদের সেবা দিতে পারবো। এসময় ইউএস বাংলার পরিচালক (মার্কেটিং সেলস) গাজী সালাহ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরইমধ্যে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে অভিষেক ঘটেছে ইউএস-বাংলার। নতুন যুক্ত হওয়া এই এয়ারক্রাফটের ১৫৮ আসনের মধ্যে রয়েছে ৮ডি বিজনেস ক্লাস। রয়েছে প্রিমিয়াম ইকোনমি ও ইকোনমি ক্লাস।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দ্রুতগতি সম্পন্ন ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে ৭৬ আসনবিশিষ্ট তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। দু’বছরের অধিক সময়ে তারা ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা রুট ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুট মিলিয়ে প্রায় ষোল হাজারের অধিক ফ্লাইট সফলভাবে পরিচালনা করেছে।

‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে মধ্যে আরও দু’টি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, মাস্কাট, দোহা, গুয়াংজুসহ বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা হবে। এছাড়া শিগগির ঢাকা-পারো-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি। গত দু’বছরে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউএস-বাংলা ট্রাভেল বিষয়ক পত্রিকা ‘দ্য বাংলাদেশ মনিটর’ কর্তৃক ডমেস্টিক সেক্টরে ‘বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০১৫’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।

যাত্রা শুরুর পর থেকে অন-টাইম ফ্লাইট অপারেশন, আন্তর্জাতিক মানের কেবিন সার্ভিস, উন্নত মানের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস যা যাত্রী সাধারণের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা। এয়ারলাইন্সটির সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড শতকরা ৯৮.৭ ভাগ। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ইউএস-বাংলায়, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার প্রোগ্রাম ‘স্কাই স্টার’ সহ অনেক সেবাধর্মী ও সময়োপযোগী সার্ভিস।