কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নে অধিপাত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। মৃত আকাম উদ্দিন সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের অধিপাত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ইমান আলী ও শাহাবুদ্দিন নামে দুইজন নিহত হন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০জন আহত হয়।
এরমধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আকাম উদ্দিনকে ওই দিন রাতেই রাজশাহী হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। নিহত আকাম উদ্দিনের ভাতিজা ছমির উদ্দিন জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে চাচা (আকাম উদ্দিন) প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই দিনই আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করে। রোববার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান,রাজশাহী মেডিকেলে ময়না তদন্তের পর লাশ কুষ্টিয়ায় আনা হবে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান,আমরা শুনেছি তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উল্লেখ্য,সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কেরামত আলী। নির্বাচনের পর থেকে সমাজিক দলাদলি ও আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান ও সাবেক এই দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে তিনটি গ্রামে তিনবার সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রতিনিয়ত হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন। সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৬টা থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ইমান আলী ও শাহাবুদ্দিন মারা যান। সংঘর্ষ চলাকালে ২০ থেকে ২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে অভিযোগ উঠে। সংর্ঘষের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।