বেনজীর আহমেদর‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, রাজধানীসহ সারা দেশের ২৯ হাজার ৭০০টি পূজামন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানীর পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের অপারেশন ডিরেক্টর মাহাবুবুল আলম, র‌্যাবের মিডিয়া ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, উপ-পরিচালক মেজর রইছুল আজম মনি, সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো: মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও গুলশান-বনানী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবাস চন্দ ঘোষ।

র‌্যাব ডিজি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ শুক্রবার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় ২৯ হাজার ৭০০টি পূজামন্ডপে এই উৎসব শুরু হচ্ছে। গত বছর দেশে পূজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার। এবছর আরো ৭ হাজার পূজামন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলিট ফোর্স র‌্যাব সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। বেনজীর আহমেদ বলেন, সারা দেশে র‌্যাবের ১৪টি ব্যাটালিয়ন ও ৫৪টি ক্যাম্প রয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড,টহল টীম ইউনিট, সিসি টিভি ক্যামেরা, স্টাইকিং ফোর্স ও হেলিকপ্টারে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যাতে করে সবাই উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা পালন করতে পারে, আমরা তার ব্যবস্থা করব। আমরা আশা করি, এবছর শৃংখলার সাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালিত হবে। র‌্যাব ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পূজায় সবার নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করব। ঢাকাসহ সারা দেশের পূজামন্ডপকে ঘিরে বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন ও সড়ক ও মহাসড়কে র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। ওই দিন গভীর রাতে প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে সন্ধ্যার পর প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার জন্য তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের প্রতি অনুরোধ জানান। এর আগে র‌্যাব ডিজি রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব উৎযাপন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষত করেন এবং পূজামন্ডপ ঘুরে দেখেন ও সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।