টাঙ্গাইলের কাগমারী উপজেলার মির্জামাঠ এলাকায় শনিবার জনৈক আজহারুল ইসলামের তিনতলা বাড়িতে পরিচালিত র্যা বের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত ২ জঙ্গির পরিচয় মিলেছে। নিহতরা হলো রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমান (২০) ও একই উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের সাগর হোসাইন (২৫)। সকাল ১০টা থেকে শুরু করা এ অভিযান বিকেল তিনটার দিকে শেষ হয়।
অভিযান শেষে মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি ওই এলাকার একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলা হয়েছে। এটি জানার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হই এবং বাসাটিও চিহ্নিত করা হয়। এরপর আজ সকালে বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়।’ তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের অপারেশনাল টিম বাড়িটির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে র্যা্ব সদস্যদের উদ্দেশ্য করে জঙ্গিরা গুলি বর্ষণ করে। এসময় র্যা বও পাল্টা গুলি করলে দুইজন জঙ্গি নিহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার পর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবনে প্রবেশ করে। পরে তাদের কক্ষ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১০টি চাপাতি, ১২ রাউন্ড গুলি, একটি ড্যাগার, একটি চাকু, ২ টি ল্যাপটপ ও নগদ ৬৪৯৬২ টাকা উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন আরও জানান, আজহার আলী মাস্টারের তিনতলা বাড়ির নিচতলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহত জঙ্গিরা ছাত্র পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করে আসে এবং পরদিন তারা ওই বাসায় উঠে পড়ে। বাড়ির মালিক আজহার আলী মাস্টারকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
বাসার মালিক আজাহারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলে থেকে পড়াশোনার কথা বলে দুই জন ছেলে অক্টোবরের ২৭ তারিখে বাসা ভাড়া নিতে চায়। পরের দিন তারা বাসায় ওঠে। ভাড়া দেওয়ার সময় তাদের কাছে পরিচয় পত্র চাইলে তারা আমার কাছে সাত দিন সময় চায়। এরপর আমি তাবলিগে চলে যাই। আজ আসার পর জানতে পারি তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।