কৃষিখাতে উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ওপর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইরানের কৃষিমন্ত্রী মাহমুদ হুজ্জাতি তিনি বলেন, এ সমঝোতা চুক্তির আওতায় দু’দেশ কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ভিত্তিতে কাজ করতে পারে। এর ফলে দু’দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইরান সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে মঙ্গলবার বৈঠককালে ইরানের কৃষিমন্ত্রী মাহমুদ হুজ্জাতি এ আগ্রহের কথা জানান। ইরানের কৃষিমন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, ইরানের কৃষি বিভাগের মহাপরিচালক হুমান ফাতিহ সহ ইরানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তা জোরদার, কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে আমির হোসেন আমু টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার খাত সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত আট বছর ধরে ৬ শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ইরানের উদ্যোক্তারা যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশের পুরাতন চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন, বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন, চিনিকলের উপজাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে সরাসরি বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্যসহ অন্যান্য কৃষিভিত্তিক পণ্য আমদানি করতে ইরানের কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কৃষিখাতে অর্জিত সাম্প্রতিক অগ্রগতির উল্লেখ করে ইরানের কৃষিমন্ত্রী বলেন, এক দশক আগে ইরান যেখানে গম আমদানিনির্ভর ছিল, সেখানে বর্তমানে ইরান চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের কৃষিখাতে অর্জিত অগ্রগতিরও প্রশংসা করেন। কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ের ইরান ও বাংলাদেশ কৃষিখাতের উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সক্ষম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ দ্রুত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।