%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%9d%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a6%be

ঝাড়ুদারের চিকিৎসায় রোগী বিপ্লব ম-লের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান বলেছেন, সুইপারের চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। পরে আমি এসে সঙ্গে সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করি। কমিটিতে চিকিৎসকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ছিলেন।মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক আরো বলেন, মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে কমিটি। এতে সুইপার ইনজেকশন দিয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে রোগী যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বজনরা ডাক্তারের কাছে ছুটে যান। ডাক্তার সেই মুহূর্তে আরো ২২টি রোগী দেখছিলেন। তখন রোগী না দেখেই চিকিৎসা দেন ওই চিকিৎসক। এরপর রোগীর স্বজনরা দ্রুত ওষুধ কিনে নার্সের কাছে দেন। নার্স দ্রুত নেবুলাইজার দেন। পাশে ছিলেন ওই স্পেশাল ওয়ার্ড বয় সুমন।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর বলেন, আপনারা যাকে সুইপার বলেছেন, তিনি স্পেশাল ওয়ার্ড বয়। তিনি নেবুলাইজার দেয়া রোগীর মাস্ক ধরেছিলেন। একপর্যায়ে রোগী মারা যান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, ওয়ার্ড বয় সুমন ইনজেকশন দেননি। তিনি পাঁচ মাস হলো এখানে কাজ করছেন। তিনি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সরঞ্জাম এগিয়ে দেন।মিজানুর রহমান আরো বলেন, রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তারদের চিকিৎসা দেয়া উচিত ছিল।এর আগে দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিকদের মিজানুর রহমান বলেন, কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে সামান্য ত্র“টি থাকতে পারে। তবে রোগীকে ইনজেকশন দেয়া হয়নি।গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে বিপ্লব ম-লের মৃত্যু হয়। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।রাগীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা হাসপাতালের এক ঝাড়ুদারকে ধরে মারধর করতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, ওই ঝাড়ুদারই রোগীকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়েছিলেন ও ইনজেকশন দিয়েছিলেন। মারধরের একপর্যায়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে কর্তব্যরত সদস্যরা ওই ঝাড়ুদারকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ হেফাজত থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে শাহবাগ থেকে পুলিশ এসে উদ্ধার করলেও নিবৃত হয়নি জনতা। পুলিশের গাড়িতে উঠেও তাকে মারধর করে তারা।