লক্ষ্মীপুরে কোটি টাকা মূল্য প্রচারে একটি কালো ও হলুদ রঙে ডোরাকাটা (হাক্কুনি) সাপকে ঘিরে জেলা জুড়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে। একটি মহল সাপটির মূল কোটি টাকা বলে প্রচার করায় স্থানিয় যুবকরা সাপকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে। এক পর্যায়ে সাপ সংরক্ষণ নিয়ে তাদের দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমসহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন সাহী ঁতাদের দুগ্র“পের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করে দেন ।এর আগে রোববার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১৫নং ওয়ার্ড বেঁিড়র মাথায় হাজী বাড়ির বাগান থেকে কয়েকজন যুবক সাপটিকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১৫নং ওয়ার্ডের হাজী বাড়ির বাগানে কালো ও হলুদ রঙে’র আবরণে ডাকা একটি ডোরাকাটা সাপ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। সাপটি দেখতে অনেকটা বাঘের শরীরের মত। এ সময় সাপটি অনেক দামী ভেবে স্থানীয় দিদার, বাবলু ও কাশেমসহ ১০/১২ জন স্থানীয় যুবক বস্তায় ভরে কাশেমের ঘরের ভিতর যতœ করে রাখে। কিন্তু রাতেই বস্তা থেকে আলোচিত সাপটি পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে বাবলু এবং দিদার কাশেমের কাছে সাপের সন্ধান চাইলে সাপটি রাতেই উধাও হয়ে গেছে বলে জানায় কাশেম। একপর্যায়ে বাবলু, দিদার ও কাশেমের মাঝে এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মাঝে জানা-জানি হলে এলাকা জুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
অনেকেই মন্তব্য করেন সাপটি অলোকিক ছিল, কাশেম সকাল হওয়ার আগেই ওই সাপ অনত্র সরিয়ে পেলে এবং কোটি টাকা বিক্রয় করে দেয়। এবিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন সাহী বলেন, একটি (হাক্কুনি)সাপকে কোটি টাকা মূল্য বলে এলাকার যুবকদের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সাপ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। তবে উভয় পক্ষকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর শহর ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ (এসআই) নাজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
Image – from File