প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭ জেলা ও ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাতে ইলিশধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে : চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দিন হতে পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট ও কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া হতে গন্ডারমারা পয়েন্ট।
এদিকে ২৭টি জেলা হচ্ছে- চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলার সকল নদ-নদী ছাড়াও দেশের সমুদ্র উপকুল এবং মোহনায়ও এ সময় ইলিশধরা বন্ধ থাকবে। ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র ছাড়াও দেশব্যাপী এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত আলী বাদশা, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাকসুদুল হাসান খানসহ অভিযানের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে বলা হয়, এই ২২ দিন প্রজনন ক্ষেত্র ছাড়াও সারাদেশের মাছঘাট, মৎস্য আড়ত, হাটবাজার ও চেইনশপে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে মন্ত্রণালসহ মৎস্য অধিদফতর, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করবে।
এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইলিশধরা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি বিধির বাস্তবায়ন, ডিমওয়ালা ইলিশ মাছসহ সকল প্রকার মাছধরা বন্ধের মাধ্যমে ইলিশ রক্ষায় গণসচেতনতা সৃষ্টি, ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র সম্পর্কিত গবেষণা ও সমীক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, অবাধ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে এবং মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা, মাইকিং, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গণউদবুদ্ধকরণ সভা-সমাবেশের আয়োজন করাও এ কার্যক্রমের অংশ।
এসময় রেলওয়ে, ট্রলার, লঞ্চ ও ট্রাক মালিক সমিতি এবং মৎস্যজীবী সমিতির সহায়তাও গ্রহণ করা হবে।