short-film-fest-2016-opening-1

বিগত বছরগুলোতে আমাদের দেশে তৈরী হয়েছে বহু মানসম্মত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। তরুণ প্রজন্মের মাঝে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও প্রসার এবং চলচ্চিত্রের দর্শকদের শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র অবলোকন, অনুধাবন, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সৃজনশীল মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করবে এবং একই সাথে ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি। ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ এ মানসম্মত চলচ্চিত্র প্রক্ষেপণ এবং অনুধাবন করাসহ এর অন্তর্নিহিত ভাবের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী একযোগে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ২ থেকে ৮ অক্টোবর ২০১৬ আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’।

আজ ০২ অক্টোবর ২০১৬ সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেশব্যাপী ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এমপি। অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, জনাব মোরশেদুল ইসলাম এবং জনাব মানজারে হাসীন মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

short-film-fest-2016-opening-3

‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের লক্ষে দুই শতাধিক চলচ্চিত্র থেকে ০৫ সদস্যবিশিষ্ট ‘সিলেকশন কমিটি’ এর মাধ্যমে ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নির্মিত উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্র থেকে ১১টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবং ০৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়। সর্বসাকুল্যে ৮৪টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীতে স্থান পাবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত‘ ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ এ সহযোগিতা করছে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম এবং বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ।

পুরস্কার প্রদানের লক্ষে ০৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাছাইয়ের মাধ্যমে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হতে উভয় শাখায় (শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি) পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার এর জন্য নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এর জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ২জনকে ২ লক্ষ টাকা এবং শ্রেষ্ঠ নির্মাতাকে ৫০ হাজার করে ২জনকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়াও ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রাপ্তকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়াও যে সকল চলচ্চিত্র উৎসবের প্রদর্শনী করা হচ্ছে সে সকল চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।

আজ উদ্বোধনী সন্ধ্যায় জহির রায়হান পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’, মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘আগামী’ তারেক মাসুদ পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র আদম সুরত, আমিনুর রহমান মুকুল পরিচালিত স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘অবরোধ’ এবং ইয়াসমিন কবির পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘পরবাসী মন আমার’ প্রদর্শিত হয়। আগামীকাল ০৩ অক্টোবর বিকাল ৪টায় শান্তনু হালদার পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দি ওয়েভ’ রোকনুজ্জামান অর্ক পরিচালিত স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়ন তারা’ শাহীন দিল রিয়াজ পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘লোহাখোর’ এবং শহীদুল ইসলাম অলি পরিচালিত স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘তাৎপর্যবিহীন’ সন্ধ্যা ৬টায় এনায়েত করিম বাবুল পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘চাক্কি’ সুমনা সিদ্দিকী পরিচালিত স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাধো’ সেন্টু রায় পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘আলতাফ মাহমুদ’ রোকেয়া প্রাচী পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘বায়ান্ন’র মিছিলে’ এবং মৃদুল মামুন পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘সবাই একজাত’ প্রদর্শিত হবে।