mahatama-gandhi

নওগাঁর আত্রাইয়ে মহাত্বা গান্ধীর ১৪৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে ও স্মৃতি চারণের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় গান্ধীর স্মৃতি বিজরিত আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গান্ধী আশ্রমে (খাদী প্রতিষ্টান) এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় রিলিফ কমিটির/গান্ধী আশ্রমের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ আমিনূল ইসলাম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গান্ধী আশ্রমের উন্নয়নের পথ প্রদর্শক নওগাঁ-৬ আসন (আত্রাই- রানী নগর) সাংসদ মোঃ ইসরাফিল আলম। সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী হাই কমিশনার, ভারতীয় দুতাবাস,রাজশাহীর মিঃ অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়।সভায় অন্যাণ্যের মধ্যে সাবেক এমপি বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ ওহিদুর রহমান,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোখলেছুর রহমান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত, সাধারন সম্পাদক চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আক্কাছ আলী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শ্রী বরুণ কুমার সরকার প্রমুখ।ইসরাফিল আলম মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯২২সালে আত্রাইয়ে বন্যার ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। ওই বছর ব্রিটিশবিরোধী নেতা ডা. প্রফুল¬ চন্দ্র রায় (পিসি রায়), মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজি সুবাষ চন্দ্র বসুর সহযোগিতায় নয় একর জমির ওপর এলাকার দরিদ্রদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গীয় রিলিফ কমিটি (গান্ধী আশ্রম)।প্রতিষ্ঠার পর এখান থেকে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা, আর্থিক সাহায্য, শিক্ষা, গরু, পালন, মৎস্য পালন, খাঁটি ঘি তৈরিসহ নানাভাবে সহযোগিতা করা হতো। প্রতিষ্ঠানটি দেখাশুনা করতেন ডা. পিসি রায় নিজেই। ১৯৩৬সালে মহাত্মা গান্ধী এ প্রতিষ্ঠানে আসেন এবং এলাকাবাসীর আত্মকর্মসংস্থানের জন্য খদ্দেরের কাপড় তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। ফলে পরবর্তী সময়ে খাদি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি এলাকায় সমধিক পরিচিতি লাভ করে।