australia-working-holiday-visaসরকারিভাবে বৈধ পথে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ! কোনো দালাল ধরার প্রয়োজন নেই, দরকার নেই কাড়ি কাড়ি টাকার, এমনকি আপনার দূতাবাসে যাওয়ারও দরকার নেই। শুধু একটি আবেদন করে ফেলুন আর ‘ভাগ্যে থাকলে’ বাড়িতে বসেই জয় করে ফেলতে পারেন অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ।

বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘ওয়ার্ক অ্যান্ড হলিডে ভিসা’ সংক্রান্ত এক চুক্তির আওতায় এ সুযোগ এসেছে। আজ শনিবার থেকে এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন অধিশাখার একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে যৌথ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ১০০ নাগরিককে এক বছরের জন্য এই ওয়ার্ক অ্যান্ড হলিডে ভিসা দেওয়া হবে। আবেদনকারী নাগরিকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

আবেদনকারীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। এই ভিসার আওতায় ভিসাপ্রাপ্ত নাগরিক অস্ট্রেলিয়ায় বৈধভাবে কাজ করতে ও যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন। অপরদিকে অস্টেলিয়া থেকে সমসংখ্যক নাগরিকও বাংলাদেশে ওয়ার্ক অ্যান্ড হলিডে ভিসার সুবিধায় সমান সুবিধা পাবেন বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা। সৈয়দা সালমা জাফরীন আরো বলেন, আবেদনকারীকে অবশ্যই স্নাতক (পাস কোর্স অন্তর্ভুক্ত) ডিগ্রিধারী হতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ‘আইইএলটিস’-এ ৫ দশমিক ৫ স্কোর থাকতে হবে এবং তা কমপক্ষে আগামী এক বছর মেয়াদ থাকতে হবে।

আবেদনকারী অথবা তাঁর অভিভাবকের অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকা থাকতে হবে এবং এ-সংক্রান্ত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটম্যান্ট দিকে হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ভিসা অনুমোদন হবে অস্ট্রেলিয়া থেকে। প্রার্থীকে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসে যেতে হবে না। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য থানা বা জেল পুলিশ দপ্তরেও যেতে হবে না। সব কাজ অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন দপ্তর থেকে করা হবে।

সালমা জাফরীন জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকেই এই আবেদন করতে হবে। অন্য কোথাও থেকে এই আবেদন করলে তা কার্যকর হবে না। এর আগে এই ভিসায় যাঁরা অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা আর এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। বাংলাদেশের নাগরিক যাঁরা ওয়ার্ক অ্যান্ড হলিডে ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন তাঁদের দেশে ফিরে এক মাসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।