jhenidah-house-wife-photo-01-10-16ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজলার শীতলীপাড়া গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাছলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে অমানসিক নির্যাতন করেছে স্বামী মিঠু ও তার পরিবার।

সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিনন্ন স্থান পুড়িয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে তাছলিমাকে। বর্তমানে সে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তাছলিমার ভাই সেলিম রেজা জানান, ৫ বছর আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার ওয়াড়িয়া লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে মিঠুর সাথে বিয়ে হয় তাছলিমার। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়।

বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুক লোভী স্বামী মিঠু যৌতুকের জন্য তাছলিমাকে মারপিট করতে থাকে। বােনের সুখের কথা চিন্তা করে তাছলিমার পরিবার কয়েক দফায় বেশ কিছু টাকাও দিয়েছে পাষন্ড স্বামী মিঠুকে।

সর্বশেষ ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর কোটচাঁদপুর উপজেলার ওয়াড়িয়া লক্ষীপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে ৩ বছরের শিশু কন্যা মেঘলাকে কেড়ে রেখে বাড়ী থেকে বের করে দেয় স্বামী ও তার পরিবার। তাছলিমা ওই দিন থেকেই বাবার বাড়ী শৈলকুপার শীতলীপাড়ায় অবস্থান করে।

এদিকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামী মিঠু, শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন ও দেবর রনি ও আরিফ শীতলীপাড়া গ্রামে আসে। রাত ৮ টার দিকে যৌতুকের জন্য আবারো তাছলিমাকে ঘরে আটক রেখে বেধড়ক মারপিট করে এবং সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়িয়ে দিয়ে মাইক্রো যােগে পালিয়ে যায় তারা। পরে আহত তাছলিমাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যৌতুক লোভী স্বামী মিঠু, শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন ও দবের রনি ও আরিফকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তাছলিমা ও তার স্বজনরা। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছে তাছলিমার ভাই সেলিম রেজা। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় কোন অভিযাগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি