%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8গুলশান হামলাসহ নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীর বিশ্বাসী বার্তাবাহক ছিলো সালাহউদ্দিন কামরান। সে বেশিরভাগ সময় তামিমের সঙ্গেই থাকতো। তামিম কোথাও গেলে সঙ্গে যেতো কামরান, কোনও জায়গায় গোপনীয় বার্তা পাঠানোর কাজও করতো সে। বুধবার রাতে টঙ্গী স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়ার আগে ও পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব তথ্য জানিয়েছে কামরান।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, নব্য জেএমবির বেশিরভাগ নেতা-কর্মীই কামরানের চেনা। কামরানকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রমের তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শামসুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে সালাহউদ্দিন কামরান, গত এপ্রিল মাস থেকে পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ছিলো। এর আগে থেকেই সে নব্য ধারার জেএমবির কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হয়। কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় নিহত জঙ্গি আবু হাকিম নাঈমের মাধ্যমে সে নব্য ধারার জেএমবির দাওয়াত পেয়েছিলো। এরপর মাস্টারমাইন্ড তামিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তার আনুগত্য দেখে তামিম তাকে নিজের সঙ্গে রেখে দেয়।

কামরানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিটি টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, কামরান কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এছাড়া সে তামিমের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার জঙ্গি আস্তানাতেও ছিলো। কিন্তু পাইকপাড়ায় পুলিশি অভিযানের একদিন আগে সে একটি কাজে বাইরে গিয়েছিলো। পরদিন তার ওই আস্তানায় ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু গণমাধ্যমে পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান ও তামিমের মৃত্যুর খবর শুনে সেদিকে আর যায়নি সে। সূত্র জানায়, এরপর কামরান ময়মনসিংহের ত্রিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে। তার সঙ্গে জঙ্গি নেতা মারজান, বাশারুজ্জামান ও রাজীব গান্ধীরও যোগাযোগ ছিলো বলে সে জানিয়েছে। পুলিশ নব্য জেএমবির এই তিন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হয় নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী। এর আগে ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় ৯ জঙ্গি। এছাড়া মিরপুরের রূপনগরে ও আজিমপুরে পৃথক দুই অভিযানে নিহত হয়েছে মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ও তানভীর কাদেরী নামে নব্যধারা জেএমবির দুই শীর্ষ নেতা নিহত হয়।