ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬৪ লাখ টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন এক কর্মকর্তা। দুই দফা তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক ওই কর্মকর্তার নাম শফিকুল ইসলাম। অঞ্চল-৫ এর কমিউনিটি সেন্টারগুলো ভাড়া দেয়া ও ভাড়া আদায় করার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের সময় থেকেই তিনি ওই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু গত ১০ বছরে তিনি কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ভাড়া তুলে তা করপোরেশনের কোষাগারে জমা দেননি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি এরইমধ্যে দু’দফা তদন্ত করে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে সিটি করপোরেশন। এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সিটি করপোরেশনের আইন বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। শিগগিরই ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেয়া হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, “ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিগগিরই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
উত্তর সিটির অঞ্চল-৫ এ মোট ৪টি কমিউনিটি সেন্টার আছে। কমিউনিটি সেন্টারগুলো ২৬, ২৯, ৩১ এবং ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে।সূত্র বলছে, আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এই আত্মসাতের ৬৪ লাখ টাকা কীভাবে উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে ভাবছে করপোরেশন।জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “মেয়র আনিসুল হক দুর্নীতির ব্যাপারে আপোসহীন। তিনি এখানে কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নন। তাই কোনো রেহাই নেই শফিকুল ইসলামের।”
জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি সেন্টারগুলো দেখভাল ও ভাড়া আদায়ের দায়িত্ব সমাজ কল্যাণ বিভাগের। উত্তর সিটি করপোরেশনে এ বিভাগের দায়িত্বে মোট ১২টি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে।