%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%88%e0%a6%95%e0%a6%a4

বাংলাদেশের ইনিংসটা শেষ হয়ে যেতে পারতো দেড়শ রানেই! কিন্তু সেটা হতে দেননি ওয়ানডে ক্রিকেটে ১১৯তম অভিষেক হওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ধ্বংস স্তুপ থেকে টেনে তোলেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। রুবেলের সঙ্গে দশম উইকেটে ৪৩ রানের রেকর্ড (প্রথম ইনিংসে) জুটি গড়েন তিনি।

শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় টাইগাররা ২০০ টপকাতে সক্ষম হয়। মোসাদ্দেক হোসেন নিজের অভিষেক ম্যাচে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের শেষ ওভারে দুই রান নিতে গিয়ে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটরে শিকার হন রুবেল। ফলশ্রুতিতে চার বল হাতে রেখে বাংলাদেশ ২০৮ রান করতে সমর্থ হয়। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে মোসাদ্দেক তার ৪৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ১৪১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাইজুলের সঙ্গে ২৪ এবং রুবেলের সঙ্গে দশম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। যা প্রথম ইনিংসের দশম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি।

গত প্রিমিয়ার লিগে চাপের মুখে খেলে বেশ কয়েকটি বিধ্বংসী ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। আর চাপের মুখে খেলার সেই অভিজ্ঞতাই অভিষেক ম্যাচে কাজে লাগলো মোসাদ্দেকের। প্রথম ম্যাচে তিনি জানান দিলেন জাতীয় দলে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই তিনি এসেছেন। কেননা নিজের প্রিয় ফরম্যাট বলে কথা। তাইতো দল যখন খাদের কিনারায় তখনই ত্রাতার ভূমিকায় মোসাদ্দেক। স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পরই জানিয়েছিলেন, ‘প্রিয় ফরম্যাটে সুযোগ পেলে ভালো কিছুই করতে চাই। টি-টোয়েন্টির অভিষেকটা ভালো হয়নি। তাই সেই আক্ষেপ পূরণ করতে চাই।’

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনীর জার্সিতে খেলেই নিজের প্রতিভাটা নতুন করে জানান দিয়েছিলেন তিনি। বয়সভিত্তিকি ক্রিকেট থেকেই সবার নজরে ছিলেন মোসাদ্দেক। জাতীয় লিগে এক মৌসুমে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিতে রেকর্ড করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ঢাকা লিগে আবাহনী শিরোপা জিতেছে। আবাহনীর সেই শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। চারটি ম্যাচ নিজ দক্ষতায় তিনি জিতিয়েছেন। এর মধ্যে বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে একটি ম্যাচেও শেষ বলে ছয় মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বশেষ মৌসুমে আবাহনীর জার্সিতে দুর্দান্ত পারফরম্ করেছিলেন মোসাদ্দেক। মূলত তারই পুরস্কার ওয়ানডে দলে সুযোগ। ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়ে ৭৭.৭৫ গড় ও ১০৪.৮৯ স্ট্রাইক রেটে ৬২২ রান করেছিলেন মোসাদ্দেক; উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক মোসাদ্দেক। মাত্র ১৮টি ম্যাচ খেলে ৭০.৮৯ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ৭ হাফসেঞ্চুরিতে ১৯৮৫ রান করেছেন মোসাদ্দেক।