রাজস্থান সীমান্তে বিপুল সৈন্য সমাবেশ পাকিস্তানের। জয়সলমেরের খুব কাছে পাক স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনী যৌথ ভাবে বিরাট সমাবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের এই সামরিক জমায়েতের খবর পেয়েই রাজস্থান সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পাকিস্তানের দাবি, এই জমায়েত আসলে স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া। কিন্তু উরি হামলার পর ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে, তখন সীমান্তে এসে বৃহত্তম মহড়া আয়োজন করাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মরুভূমির মাঝে জয়সলমের সীমান্তের ঠিক ও পারে কী ধরনের সামরিক সমাবেশ করেছে পাকিস্তান?
করাচি থেকে ফাইভ কোর এবং মুলতান থেকে টু স্ট্রাইক কোরকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজস্থান সীমান্তের কাছে। নিয়ে আসা হয়েছে ২০৫ ব্রিগেডকেও। সব মিলিয়ে পাক স্থলবাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার জওয়ান এখন জয়সলমেরের সীমান্তের ও পারে অবস্থান করছে।পাক বিমানবাহিনীও হাজির হয়েছে এই সামরিক কর্সূচিতে। বিমানবাহিনীর ৩০০ সদস্য এই তথাকথিত মহড়ায় যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধবিমানের ওড়াউড়ির খবরও এসেছে। এতেই শেষ নয়। বেশ কিছু নতুন সামরিক সরঞ্জাম মরুভূমির মধ্যে পরীক্ষা করতে শুরু করেছে পাকিস্তান। মহড়ায় যোগ দেওয়ার নামে সীমান্তে হাজির করা হচ্ছে বড়সড় ট্যাঙ্ক বাহিনী। ভারী গোলাবর্ষণের উপযুক্ত সরঞ্জাম এবং সাঁজোয়া গাড়িও ঘোরাফেরা করছে রাজস্থান সীমান্তের ঠিক ও পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর জয়সলমেরের কিষণগড় বুল্জ এলাকার ঠিক উল্টো দিকে পাক স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনীর এই কর্মসূচি চলছে। ২২ সেপ্টেন্বর থেকে শুরু হয়েছে পাক বাহিনীর এই বৃহত্তম মহড়া। চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। যত বড় সামরিক মহড়াই আয়োজিত হোক, এত দীর্ঘ সময় ধরে মহড়া চলা বেশ বিরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। পাক বাহিনীর এই তৎপরতাকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। বিএসএফ-কে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্তে দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারতীয় বাহিনী। জয়সলমেরের ও পারে দিনভর কী চলছে, সে দিকে সারা ক্ষণ নাজর রাখছে বিএসএফ।