শেষ ইচ্ছা অনুসারে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের দাফন হয়েছে তার জন্মস্থান কুড়িগ্রামে।ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত সৈয়দ হকের মরদেহ বুধবার বিকালে হেলিকপ্টারে করে তার নিজের জেলা কুড়িগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে মাঠে হেলিকপ্টার থেকে কফিন নামানোর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তাদের প্রিয় এ্ই মানুষটির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।কলেজ মাঠে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে সৈয়দ হকের জানাজায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ। কলেজে মসজিদের দক্ষিণ দিকে মাঠ সংলগ্ন ধানক্ষেতের পাশে বিকাল ৫টায় তাকে দাফন করা হয়, যে জায়গায় শায়িত হওয়ার ইচ্ছার কথা তিনি জানিয়ে গিয়েছিলেন।সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী জানান, গত বছর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সৈয়দ হক এই মাটিতেই শায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্েযাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়।১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।সৈয়দ হকের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।প্রিয় জায়গায় কবরের সম্মতি মেলায় গত ১১ মার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং কুড়িগ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন সৈয়দ হক। সেখানে তিনি লেখেন, আমার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে আপনারা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, এতে আমি আনন্দিত এবং আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার জন্মস্থান আমার শেষ ঘর হবে। এটা যে আমার বহু দিনের ইচ্ছা, আমার পরিবার পরিজনও সেভাবে প্রস্তুত। তারাও আপনাদের সিদ্ধান্তে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমার সশ্রদ্ধ সালাম রইল।
এর আগে বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কবির মরদেহ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজমাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কুড়িগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কবির মরদেহ যৌথভাবে গ্রহণ করেন জেলা পরিষদের প্রশাসক জাফর আলী, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আবদুল জলিল, জেলা পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ ও কলেজের অধ্যক্ষ সাবিহা খাতুন। এ সময় কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক, পুত্রবধূ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। হেলিকপ্টার থেকে কবির মরদেহ নামিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে সকাল থেকে অপেক্ষায় থাকা কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাটসহ আশপাশের এলাকা থেকে হাজারো মানুষ কবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মাঠে কবির ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক কুড়িগ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন,‘রাষ্ট্র আমার বাবার জন্য যা করেছে, তার জন্য আমাদের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী বাবাকে আমরা কুড়িগ্রামে নিয়ে এসে দাফন করলাম।এ সময় কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্রবধূ, পরিবারের অন্য সদস্য, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
কবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজমাঠে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃত্বে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রংপুর থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (আম্বিয়া), সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ, শিখা সংসদ, লালমনিরহাট থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। তাঁরা ফুলে ফুলে ঢেকে দেন কবির কফিন।বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সৈয়দ হকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর কফিনে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সৈয়দ হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।এসেছিলেন সরকারের মন্ত্রীরা, আমলারা, রাজনীতিবিদরা। বহু যুগের কলমযুদ্ধের সহযোদ্ধা, শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধি, আর ভক্ত, পাঠক, সবার হাতে ছিল শ্রদ্ধার ফুল।
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি হামিদ লেখকের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সৈয়দ হকের স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হকের সঙ্গে কথা বলেন, সান্ত¡না দেন।রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখকপুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক ও পুত্রবধূ আম্বিরি খান।শ্রদ্ধা জানানোর পর কৈশরের বন্ধু সৈয়দ হককে স্মরণ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। মেট্রিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরিচয়। মৃত্যুর ৪/৫ দিন আগেও টেলিফোনে কথা হয়েছে। মনেপ্রাণে সাহিত্যিক ছিলেন। এর বাইরের কাজগুলো গৌন ছিল। মেধা এবং শ্রমের সাহায্যে অসাধারণ সাহিত্য নির্মাণ করেছেন। পরিমাণে যেমন বড়, গুণেও সম্বৃদ্ধ।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ লেখক সৈয়দ শামসুল হককে বর্ণনা করেন রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করা একমাত্র লেখক হিসেবে।কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার দেখায় সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন পরিপূর্ণ এক বাঙালি, পরিপূর্ণ এক মানুষ পরিপূর্ণ এক সাহিত্িযক, যিনি হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস নিজের কবিতায় বিবৃত করে গেছেন।সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, সৈয়দ শামসুল হক যে ভাষা নির্মাণ করেছেন তা এখানকার আধুনিকতাবোধ, বুদ্ধি এবং শৈলীতে অনন্য। তিনি শেকসপিয়রের যে অনুবাদ করেছেন, তা দুই বাংলায় সমানভাবে সমাদৃত।শিল্পী হাশেম খান বলেন, প্রিয় মানুষ হক ভাইয়ের জন্য আজ আমরা কাঁদছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নিষিদ্ধ লোবান পড়ে আমি অনেক দিন অভিভূত ছিলাম। আমার শরীরের লোম শিহরিত ছিল কয়েক দিন।“তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নুরল দিনের… এগুলো বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি নতুন নতুন যে ভাষা নির্মাণ করেছেন তাও বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। তাকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে যা যা করা দরকার সরকার যেন সেগুলো করতে কার্পণ্য না করে।
বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান এই লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং সাংসদেরা। আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বরেণ্য ব্যক্তিরা কবির প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। কেউ কেউ স্মৃতিচারণাও করেন।একপর্যায়ে লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পরম ভালোবাসা নিয়ে ফুল দিয়ে কবিকে শ্রদ্ধা জানান।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৈয়দ হককে নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে। জানাজার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জন্মস্থান কুড়িগ্রামে। সেখানে সরকারি কলেজ মাঠের পাশে কবির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানেই তাঁকে দাফন করা হয়।সকাল সোয়া ১০টার দিকে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সৈয়দ হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক মানুষ অংশ নেন।
বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সৈয়দ হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।কবির জানাজায় চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক মানুষ অংশ নেন।চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ থেকে সৈয়দ হকের মরদেহ নেওয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ শামসুল হক। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন । ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিকালে চিকিৎসকরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অমরত্বের ব্যাখ্যা দিয়ে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা লিখেছেন, সমকালীন বাংলা কবিতা ও বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতার এক সর্বাগ্রগণ্য কারুকৃৎ কবিশ্রেষ্ঠ সৈয়দ শামসুল হক এখন থেকে চিরজীবিত।মানব শরীর নিয়ে আশি বছরের অধিককাল মর্ত্যবাসী থেকে এখন তিনি মহাবিশ্বের মহাকালের আদিঅন্তহীনতায় সমর্পিত। তাঁর সৃষ্টি অবিনাশী, তাঁর সত্তা অবিনাশী, তাঁর আলোক চির-সক্রিয় থাকবে বাঙালির মনে ও মননে।সাহিত্েযর সব ক্ষেত্রে সদর্প বিচরণকারী সৈয়দ হকের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
সৈয়দ হকের মৃত্যুর খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সৈয়দ হকের শোকে মুহ্যমান রাজনীতিকরাও। মঙ্গলবার সৈয়দ হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠেয় আনন্দ আয়োজনটি স্থগিত করে শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উদযাপন কমিটি। এই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারজয়ী এই লেখকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্য গেলে সৈয়দ হকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে কিছু দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দিলে জীবনের বাকি দিনগুলো দেশে কাটানোর জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর ফিরে আসেন তিনি। ফেরার পর থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তাকে দেখে এসে তার চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।হাসপাতালে সোমবার দুপুরে সৈয়দ হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর থেকে কৃত্রিম উপায়ে তাকে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল।দুপুরে তাকে দেখে এসে কবি মুহাম্মদ সামাদ সাংবাদিকদের বলেন, সঙ্কটাপন্ন হলেও শারীরিক অবস্থার কারণে তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না।তার কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিয়ে জানিয়ে দেন, এই লেখক আর বেঁচে নেই।