%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%ac%e0%a6%bf

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বারবার জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার জন্য সংবিধান অনুসারে আইন না করাকে দায়ী করেছে টিআইবি।বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের মধ্েয সংস্থাটি এই মত প্রকাশ করে অবিলম্বে এই সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।নতুন নির্বাচন কমিশন আগের বারের মতোই সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন বলে আভাস দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

অন্যদিকে বর্তমান ইসিকে সরকারের আজ্ঞাবহ আখ্যায়িত করে আসা বিএনপি সার্চ কমিটি বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতের ভিত্তিতে তা করার দাবি তুলেছে।এনিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কিত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ২০১৭ সালের ফেব্র“য়ারিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই এটি করা সম্ভব।টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাংবিধানিক অঙ্গীকার অবহেলা করে কোনো আইন প্রণয়ন ছাড়াই ধারাবাহিকভাবে শুধু মনোনয়নের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রদানের কারণে সংবিধানের ১১৮(১) ধারা শুধু লঙ্ঘিতই হচ্ছে না, বরং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জন-আস্থাও ক্রমান্বয়ে কমছে।

সংবিধানের ১১৮(১) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষেই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যে সংলাপ করেছিলেন, তখনও আইন প্রণয়নের আহ্বান এসেছিল বিভিন্ন দল থেকে। কিন্তু পাঁচ বছরেও তা বাস্তব রূপ পায়নি।ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদেরকে সম্পৃক্ত করে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করা হলে এবং তদনুসারে সার্চ-কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে স্বচ্ছতার ঘাটতি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগেরও নিরসনের সম্ভাবনা বাড়বে।

সার্চ কমিটির কর্ম-পরিধি ও তার সদস্যদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ, সার্চ-কমিটির সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের সব তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশ, সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের শর্তাবলী, পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদিসহ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতালব্ধ অন্যান্য উপাদানসমূহ প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে টিআইবি।