hillary-clinton-donald-trump-diss-debate-thenewscompany

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অবতীর্ণ হচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কের হেম্পস্টেডে হোফসট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন ও রয়টার্স। চলতি বছরের ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর ছয় সপ্তাহ আগে নির্বাচনী জরিপগুলোতে দুই প্রার্থীর পক্ষে কাছাকাছি জনসমর্থন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এই বিতর্কে অভিজ্ঞ বিতার্কিক হিলারি যেমন তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিভিন্ন বিষয়ে উস্কে দিতে চাইবেন, ঠিক একইভাবে ট্রাম্পের উস্কানি থেকে নিজেকেও রক্ষা করে চলতে হবে তাকে।

ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে দলের অভিজ্ঞ প্রার্থীদের বিতর্কে ধরাশায়ী করেই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।রিপাবলিকান প্রাইমারির সময় ট্রাম্প অপ্রত্যাশিত ও অনেক সময় বিস্ফোরক সব মন্তব্য করে নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে উত্তেজনা ধরে রেখে নিজেদের সামর্থ্যরে সত্যিকার পরীক্ষা দিতে হবে তাকে।এই বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের বেশ কয়েকজন সাবেক সহযোগী ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।বুশ পরিবার ও এই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত রিপাবলিকান পার্টির একটি অংশ প্রার্থী ট্রাম্পের বিষয়ে প্রথম থেকেই শীতল মনোভাব দেখিয়ে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ ডব্লিউ বুশ (সিনিয়র বুশ) হিলারির পক্ষে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গেছে, আর ট্রাম্পের সাবেক দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী জেব বুশ হিলারি বা ট্রাম্প, কাউকেই ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন।কংগ্রেস নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীদের জন্য চাঁদা তোলার কাজে সহায়তা করলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা এড়িয়ে চলছেন জর্জ বুশ।কিন্তু তার সাবেক বেশ কয়েকজন সহযোগী নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী ট্রাম্পকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের এক কর্মকর্তার প্রকাশ করা একটি তালিকায় বুশের ওই সাবেক সহযোগীদের নাম আছে।

ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো বুশের সাবেক ৫০ জন সহযোগীর মধ্যে হোয়াইট হাউসের সাবেক তথ্যসচিব আরি ফ্লেইশ্চার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল জন অ্যাশক্রফট, সাবেক শ্রমমন্ত্রী এলাইনি চাও, সাবেক অর্থমন্ত্রী জন স্নো এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা মন্ত্রী টমি থম্পসন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তালিকায় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড, প্রাক্তন সেনা বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী অ্যান্থনি প্রিন্সিপি এবং হোয়াইট হাউসের রাজনীতি বিষয়ক সাবেক ডেপুটি পরিচালক ম্যাট স্ক্যাল্পের নামও আছে।