%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%bf-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be

কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার রাকিবুল হাসান রিগানকে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ আদেশ দেন।রাকিবুলকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন গুলশান হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির।আবেদনে বলা হয়, গুলশান হামলার ঘটনার সঙ্গে এ আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মামলার রহস্য উদ্ধারের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক ফরিদ মিয়া বলেন,এই মামলায় সম্প্রতি রাকিবুল হাসান রিগানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত আজ ওই আবেদন আমলে নিয়ে তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে হাজারিবাগ থানার আরেকটি হত্যা মামলায় রাকিবুলকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।এর আগে রিগানকে হাজারীবাগ থানার আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়।এছাড়াও কল্যাণপুরে অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।

জঙ্গি আস্তানার খোঁজে ২৫ জুলাই রাতে মধ্যরাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে তাজ মঞ্জিল নামের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরদিন ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি। ভোরের সেই অভিযানের আগেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন রিগান। তাকে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।ওই বাসায় অস্ত্র, বিস্ফোরকের পাশাপাশি আইএস এর পতাকা ও কালো পাঞ্জাবি পাওয়ার কথা জানালেও পুলিশ দাবি করে, হতাহতরা সবাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির সদস্য।এর আগে ১ জুলাই রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার পর দিন সকালে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানের পর সেখান থেকে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।আর জঙ্গিদের ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।