আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে পাবনায় মন্দিরে মন্দিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পূজার প্রধান আকর্ষণ দূর্গা প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় ৩২৬টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গাপূজা। এসব মন্ডপে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৬৩ মেট্রিকটন চাল। আর প্রতিমা তৈরীর কাজ নির্বিঘেœ করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বাকি আর কয়েকদিন। ৩০ সেপ্টেম্বর মহালয়ার পর আগামী ৭ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহোৎসব। এ উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দুর্গা প্রতিমা। তাই পাবনা জেলা শহর সহ নয়টি উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাদা, মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন শিল্পীরা। তাদের আশা র্নিধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সব প্রতিমা তৈরীর কাজ। পাবনা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ ভদ্র জানান, পাবনায় দূর্গা পূজা সার্বজনীনভাবে প্রতিবছর উদযাপিত হয়। প্রশাসনের সহায়তায় এবারের দূর্গাপূজাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে উদযাপিত হবে আশা করছি।
জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে পাবনা জেলার মন্দিরগুলোতে ১৬৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ নির্বিঘœ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের দূর্গাৎসব সম্পন্ন হবে।
পাবনা প্রতিনিধি