বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নামে মানুষকে প্রতারণা ও মেয়াদোত্তীর্ণ রসায়নিক উপাদানে রোগ নির্ণয়ের অপরাধে রাজধানীর বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’কে ২২লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বুধবার র্যাবের পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা করে।
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-২ এর একটি দল বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করে।এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ শাহজাহান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ড্রাগ সুপার মোঃ রাজিউর রহমান ও র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম উপস্থিত ছিলেন।অভিযানকালে রাজধানীর কোতোয়ালী, ইংলিশ রোডে মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ডায়ানষ্টিক টেষ্টের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়াদউত্তীর্ণ রি-এজেন্ট। সেখানে রিপোর্ট কার্ড হিসাবে ব্যবহৃত বইয়ে ১৫টি পাতায় ব্ল্যাংক স্বাক্ষর করা অবস্থায় পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নামে ভুয়া সিল জব্দ করা হয়।
এ সব অভিযোগে মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেসকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা এবং এ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাসির ওয়াকার (৪১), ল্যাব ইনচার্জ উজ্জল মিয়া (৩২), ম্যানেজার এ্যাডমিন সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং কেয়ারটেকার আবু ইয়াহিয়া (৪৩)কে আটক করা হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।এদিকে একই এলাকায় পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকেও ৬ লাখ টাকা জরিমানা, এর ম্যানেজার শিবলী সাদি আকন্দ (৪০), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও মোঃ রবিকুল ইসলাম (৪৩)কে আটক এবং জরিমানার টাকা অনাদায়ে আটককৃত প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।এছাড়া একই এলাকায় মডার্ণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে ৪ লাখ ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনষ্টিটিউট হাসপাতালকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।এ সময় মডার্ণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার খোকন চৌধুরী (৫০), ল্যাব ইনচার্জ মাহফুজ ভুইয়া (৩০) ও টেকনোলজিষ্ট মিলন চৌধুরী (৪২) এবং ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনষ্টিটিউট হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ সুলতান এম আতিকুর রহমান (৩৮) ও টেকনোলজিষ্ট মোঃ জিয়াউর রহমান (৩০)কে আটক করা হয়।জরিমানার টাকা আনাদায়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের আটককৃত প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডর নির্দেশ দেয়া হয়।
