দেশের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আসছে যানবাহনের ফিটনেস টেস্ট।বুধবার মিরপুরস্থ বিআরটিএ অফিস আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে সেবাগ্রহিতাদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন এ লক্ষ্যে মিরপুরে স্থাপন করা হয়েছে ভেহিক্যল ইন্সপেকশন সেন্টার বা ভিআইসি। আগামী ৩০ অক্টোবর ভিআইসি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দেশের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার শুররুহবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি নানান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বিআরটিএ’র সেবার মান বেড়েছে কিন্তু দালালদের দৌরাত্ম কিছু রয়েছে। এ অবস্থার আরও উন্নতি করতে হবে।তিনি বলেন, ভিআইসি চালু হলে ফিটনেস টেস্টের জন্য যানবাহন বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে আনতে হবে। বর্তমানে ম্যানুয়েল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল টেস্ট চালু হলে যানবাহন ব্যবস্থাপনায় আরো অগ্রগতি হবে বলে তিনি এসময় সেবাগ্রহিতাদের জানান।তিনি বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ায় বিআরটিএ-এর সেবার মান বেড়েছে, কিন্তু দালালদের দৌরাত্ম কিছু রয়েছে। এ অবস্থার আরও উন্নতি করতে হবে।ভিআইসি চালু হলে ফিটনেস টেস্টের জন্য যানবাহন বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে আনতে হবে।
এখন ‘ম্যানুয়ালি’ গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে একজন মোটরযান পরিদর্শক গাড়ির ফিটনেস সনদ দিয়ে দেন বলে ত্রুটিপূর্ণ গাড়িও অনেক সময় ফিটনেস সার্টিফিকেট পেয়ে যায়। এমনকি গাড়ি না নিয়ে এসেও ঘুষের বিনিময়ে ফিটনেস সনদ পেয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন সময়ে।৩০ অক্টোবর বিআরটিএ যে ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) চালু করছে, সেখানে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কয়েকটি ধাপে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে। তাতে ফাঁকির সুযোগ অনেকাংশে কমে আসবে বলে বিআরটিএ কর্মকর্তারা মনে করছেন।দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় এই প্রযুক্তি সংযোজনে ব্যয় হচ্ছে ২৭ কোটি টাকার বেশি। বিআরটিএ- এর পরিদর্শকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।বিআরটিএ-এর গত অগাস্ট মাসের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ২৭ লাখ ১৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১৬ লাখই মোটরসাইকেল যার ফিটনেস পরীক্ষা হয় না। বাকি নয় লাখ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মধ্েয চার লাখেরই ফিটনেস নেই।