গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলন ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দিতে ১২ দিনের সরকারি সফরে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রপতির ভবনে পৌঁছান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তাকে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি।বুধবার কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।সাধারণত বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তর আমেরিকার দু’টি দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ১১ দিনের সরকারি সফরে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন।প্রধানমন্ত্রী কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এক রাত যাত্রা বিরতি করবেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রথম পর্বে ‘ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ যোগদানের উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম চারদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফর করবেন।এরপর সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে ‘জিএফ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।এর আগে, ‘জিএফ’-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলন ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের তিনটি সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ রোগ- এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার বিস্তার রোধে আরো বেশি উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের একমঞ্চে নিয়ে আসবে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস-এর একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
একই দিন লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাবে। ব্রিটেনের রাজধানীতে এক রাত যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটযোগে লন্ডন থেকে কানাডার মন্ট্রিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।একইদিন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি মন্ট্রিলের পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করবে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে (মন্ট্রিল সময়)।সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী এবং অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান।এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে মন্ট্রিলের হোটেল ওমনি মন্ট-রয়্যাল-এ নিয়ে যাওয়া হবে। কানাডা সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।প্রধানমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলের অনুষ্ঠেয় এই রিপ্লেনিসমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
পরে বিকেলে তিনি একই হোটেলে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লেজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।১৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব তহবিলের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
একই দিনে তিনি ‘রিমোভিং বেরিয়ার্স টু হেল্্থ থ্রো এম্পাওয়ারিং উইমেন এন্ড গার্লস এন্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-১ এবং ‘এনগেজিং এন্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল্্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-২-এ অংশ নেবেন।তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।পরে তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করবেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বিশ্ব তহবিল ও গ্লোবাল সিটিজেন আয়োজিত কনসার্টও উপভোগ করবেন।