%e0%a6%86%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae

শনিবার রাজধানীর আজিমপুরে নিহত জঙ্গি করিমের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী তার আসল নাম মো. শমসের উদ্দিন। পিতার নাম মোসলেহ উদ্দিন। বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়ায়। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, শমসের উদ্দিনের সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম। এনআইডিতে তার ঠিকানার জায়গায় লেখা, ৬৩০ নং সিটি করপোরেশন, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। শমসের উদ্দিনের এনআইডি নম্বর- ৮১৯২২২৬৩৩৯১৫৩।

পুলিশ জানায়, শমসের উদ্দিনের ১৪ বছর বয়সী ছেলে ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলে লেভেল এইটে পড়ে। সে পুলিশকে জানিয়েছিল, তারা বাবা-মা ঘন ঘন বাসা চেঞ্জ করতো। বারিধারা (বসুন্ধরা) থেকে রূপনগর, সেখান থেকে কল্যাণপুর, তারপর আজিমপুরে আসে তারা।

উল্লেখ্য, আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় শনিবার পুলিশি অভিযানে যার মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার নাম জানানো হয়েছিল করিম। জঙ্গি করিম আত্মহত্যা করেছিল বলে দাবি করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, পুলিশের অভিযানে ওই জঙ্গি নিহত হয়েছে। ওই অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশের অভিযানে মারা যায়নি করিম। যখন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা ওই বাসায় অভিযান চালায় তখন তারা সেখান থেকে জঙ্গি করিমের মরদেহ এবং দুই নারী জঙ্গিকে আহত অবস্থায় পায়। অপর নারী জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। তবে জঙ্গি করিম কিভাবে আত্মহত্যা করেছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।

তিন নারী জঙ্গিকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলো শাহেলা, শারমিন ও জেবুন্নাহার।

Image : BT