eoin_morgan_3334185b

ইংল্যান্ডের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে যখন আস্তে আস্তে দেশটির সকল ক্রিকেটার ইতিবাচক সমর্থন দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই বেঁকে বসেন ইংলিশদের সীমিত ওভারের অধিনায়ক ইয়ন মরগান। আর নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে রঙ্গিন পোশাকের দলপতির এমন আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে খোদ ব্রিটিশ গণমাধ্যমেই।

মরগানের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল থেকে শুরু করে বড় বড় সকল গণমাধ্যম। বাংলাদেশ সফর নিরাপদ এমনটি পর্যবেক্ষণ করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকাসন আগেই সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ফলে ইসিবি’র ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, ইংলিশ কোচ ট্রেভর বেইলিস ও সহকারী কোচ পল ফারব্রেস সবাই চাচ্ছেন প্রতিটি ক্রিকেটারই সফর সম্পন্ন করুক।

স্ট্রাউস ক্রিকেটার থাকাকালে ইংলিশদের ভারত সফরে মুম্বাই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেবার দেশের জন্য সব কিছু ত্যাগ করে আবারও ভারত সফরে গিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে ২০০৯ সালে লাহোর হামলার সময় শ্রীলঙ্কান দলে কোচিং স্টাফের দায়িত্বে ছিলেন বেইলিস ও ফারব্রেস। তবে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তারা দ্বিধান্বিত হননি।

এদিকে মরগানের এমন আচরণ স্বার্থপরতা ছাড়া আর কিছুই না, এমনটি জানিয়েছে ডেইলি মেইল। তারা তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘সফর না করে দেশের সম্মান নষ্ট করছে মরগান। এমনকি নিজের ক্যারিয়ারও ঝুঁকিতে ফেলছেন তিনি। এছাড়া তিনি নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকাসনের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না।’

আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া মরগানের সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ারপর থেকেই পূর্বসূরি ইংলিশ ক্রিকেটার ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। সাবেক অধিনায়ক, ধারাভাষ্যকার ও কলামিস্ট নাসের হুসেইন তো গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলেই দিয়েছেন, ‘এতে করে মরগান দলে তার নেতৃত্ব হারাতে পারে।’ আরেক সাবেক ইংলিশ পেসার ও ক্রিকেট সাংবাদিক ডেরেক প্রিঙ্গল মরগানের ভারতে আইপিএল খেলা প্রসঙ্গে টুইট করেছেন, ‘ভারত সফরে বোমা হামলার স্মৃতির কথা বলে মরগান বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে দিল। কিন্তু সে তো ভারতে যাওয়া বন্ধ করেনি।’

ডেইলি মেইল আরও জানায়, পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজের আগে মরগান আন্তর্জাতিক ২১ ম্যাচে কোনো হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পাননি। এছাড়া গত বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বে দলের ভরাডুবি হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে সেবার বিশ্বমঞ্চ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল মরগান বাহিনীকে। তবে ইসিবি তার ওপর আস্থা রেখেছিল।

সফরে টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক আগেই নিজের আসার ব্যাপারে জানিয়েছেন। অথচ সফর চলাকালীন তিনি দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হবেন। এছাড়া বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করে দলের তরুণ ক্রিকেটাররাও ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। তবে কি মরগানের এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে তার দলে থাকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করলো?