%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a7%aa%e0%a7%ae-%e0%a6%98

কোরবানির পশুর বর্জ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আশা জানিয়ে এ কাজে নগরবাসীর সহায়তা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।শনিবার ডিএনসিসির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হবে।পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকাকে বর্জ্যমুক্ত করতে পারবো বলে আশা করছি। মেয়র জানান, এবার ঢাকা উত্তরে কোরবানির জন্য ৬৪৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৬টি স্থানে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইমাম ও কসাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তরে প্রায় ১ লাখ পলিব্যাগ সরবরাহ করা হবে বলেও মেয়রের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ কাজে দুই হাজার ২২৫ জন নিয়মিত কর্মীর সঙ্গে আরও এক হাজার পাঁচজন অতিরিক্ত কর্মী থাকবে বলেও জানান তিনি।সারাদেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ৫৩টি জেলা শহরে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ছয় হাজার ২৩৩টি স্থান নির্ধারণ করে দেয় সরকার; যদিও এসব স্থানে পশু জবাই বাধ্যতামূলক নয়।

সিটি করপোরেশনগুলোর দুই হাজার ৯৪৩টি নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য চার হাজার ৮৮৫ জন ইমাম এবং ১২ হাজার ৬৩৮ জন কসাই থাকবে বলে গত মাসে স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক জানিয়েছিলেন। জেলার নির্ধারিত পশু জবাইয়ের স্থানেও ইমাম-কসাই থাকবে। এলাকায় কোরবানির পশু জবাই করার পর বর্জ্য অপসারণ হয়নি, দুর্গন্ধে হাঁটতে পারছেন না- তাহলে দ্রুতই ফোন করুন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কন্ট্রোল রুমে। নাগরিকদের এই সেবা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে ৫টি অঞ্চলে ৫টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে কেন্দ্রীয় দুটি কন্ট্রোল রুম।

মেয়র বলেন, আমরা সবার সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মোটামোটি সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো। এর জন্য ডিএনসিসি’র ৫টি অঞ্চলে ভাগ করে, ৫টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ থাকলে এসব কন্ট্রোল রুমে ফোন করলেই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
অঞ্চল-১ এর আওতায় রয়েছে উত্তরা, কুড়িল, খিলক্ষেত, টানপাড়া, জোয়ার সাহারা, নিকুঞ্জ, আজমপুর, আব্দুল্লাহপুর। এই এলাকার বাসিন্দারা ০১৭১৭-১০২০২৫ নম্বরে ফোন করলে বর্জ্য অপসারণে সহায়তা পাবেন।

অঞ্চল-২ এর আওতায় মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকা, পল্লবী, মিরপুর- ১, ১০, ১২, ও ১৪ নম্বর। অঞ্চল-২ এর কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৭১১-৫৭৭৪৭৪।অঞ্চল-৩ এর আওতায় গুলশান, বনানী, বাড্ডা, নর্দা, নাখালপাড়া, মগবাজার, রামপুরা ও বনশ্রী। এসব এলাকার বাসিন্দারা ফোন করবেন ০১৯২৩-১১৩৬৩৬ নম্বরে, পাওয়া যাবে সমাধান।অঞ্চল-৪ এর আওতায় রয়েছে শেওড়াপাড়া, রোকেয়া স্মরণী, কল্যাণপুর, দারুস সালাম। এ অঞ্চলের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৭১২-৫৮৪০৮৬।

অঞ্চল-৫ এর মধ্যে এলাকা রয়েছে কাওরানবাজার, ফার্মগেট, মণিপুরীপাড়া, তেজকুনী বাজার, লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকা। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা ০১৭১১-৩১৩২৮৯ নম্বরে ফোন করে পেতে পারেন সুবিধা।এছাড়া দুটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর একটি মিরপুর, নম্বর ০২-৯০০৪৭৩৪ এবং গুলশান এলাকার কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২-৯৮৬১৩৯৩। এর বাইরে কেউ চাইলে ডিএনসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমেও ফোন করতে পারেন। যার নম্বর ৯৮৫৬৭০৯ ও ৯৮৫৮০০৬। এবার ঈদুল আযহায় ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে ৮টি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। কোরবানি করার পর বর্জ্য অপসারণের আগেই হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানান মেয়র। হাটসহ প্রতিটি কোরবানির স্পটে স্যাভলন ও ফিনাইল মিশ্রিত পানি ছিটানো হবে বলেও জানান তিনি।ইতোমধ্যে কোরবানি বিষয়ে প্রয়োজনীয় করণীয় সংবলিত ৫ লাখ ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলেন, আনিসুল হক।