ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি অস্থায়ী হাট বসবে। এসব হাট প্রায় ১৯ কোটি টাকায় ইজারা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন । আগামী শনিবার থেকে এসব হাটে পশু বেচাকেনা হবে। আয়োজকদের তিন দিন হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর বনরূপা আবাসিক এলাকায় স্থাপিত পশুর হাটটি সর্বোচ্চ দুই কোটি ৪১ লাখ টাকায় ইজারা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়নসংলগ্ন মাঠটি এবার সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকায় ইজারা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার ডিএনসিসি এলাকায় পশুর হাট বসবে ১০টি। তাঁত বোর্ডের আপত্তির কারণে ভাসানটেক এলাকার বেনারসিপল্লীতে হাটটি বসছে না। তবে জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মহাখালীর কড়াইল এলাকার টিঅ্যান্ডটি মাঠে হাট বসবে।
এবার ডিএসসিসি এলাকায় ১৪টি হাট বসবে। ডিএসসিসিতে নতুন আটটি ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ায় শ্যামপুর ও দনিয়ার হাট এলাকা দুটি সিটি করপোরেশনের আওতায় পড়বে। হাট ইজারার বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমেদ বলেন, ‘এবার ১০ কোটি এক লাখ টাকার হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। এটা ভালো অবস্থা। এর মধ্যে একটি হাট থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা পেয়েছি। আর বাকিটা অন্যান্য জায়গা থেকে।’
আর ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খিলক্ষেত-বনরূপার একটি হাট থেকে আমরা সর্বোচ্চ দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা ইজারা পেয়েছি। প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার মতো রেভিনিউ (রাজস্ব) যোগ হয়েছে।’ কোরবানির হাট ঘিরে এরই মধ্যে প্রচার শুরু করেছে ইজারাদাররা। মাইকের পাশাপাশি লিফলেট ও পোস্টার বিলি করে প্রচার চালানো হচ্ছে। অস্থায়ী এসব হাটের প্রস্তুতি শেষের পর্যায়ে। এরই মধ্যে পশু আসতেও শুরু করেছে।
কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা গরুতে সয়লাব। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে আনা প্রায় ১২ মণ ওজনের একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা। হাটগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে হাটগুলোতে পুলিশ ও র্যাব টহল দেবে। মোবাইল কোর্ট থাকবে। হাটে ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে।’
আর ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমেদ বলেন, ‘হাটে ফুল টাইম পুলিশ থাকবে। গরুর শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করা হয়েছে কি না—তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য টিম থাকবে।’ প্রতিবারের মতো চলতি বছর শতকরা পাঁচ টাকা হারে, অর্থাৎ হাজারে ৫০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করেছে সিটি করপোরেশন।