সিরাজগঞ্জে জেএমবি’র সুইসাইড স্কোয়াডের ৪ নারী সদস্য আটক-1জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ ভোরে কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে একই পরিবারের মা ও ২ মেয়ে সহ জেএমবি’র আত্মঘাতী দলের ৪ মহিলা সদস্যকে আটক করেছে। আটকরা হচ্ছে- উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের আবু সাইদের স্ত্রী ফুলেরা খাতুন (৪৫), তার মেয়ে সাকিলা খাতুন (১৮) ও সালমা খাতুন (১৬) এবং একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রাজিয়া (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জেহাদী বই ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

সিরাজগঞ্জে জেএমবি’র সুইসাইড স্কোয়াডের ৪ নারী সদস্য আটকজেলা পুলিশসুপার মিরাজ উদ্দিন আহমদ জানান, আটককৃতরা সকলেই জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য। তিনি জানান, নাশকতামূলক কার্যকলাপের লক্ষ্যে আজ সোমবার ভোররাতে তারা বড়ইতলা গ্রামের ফরিদুলের বাড়িতে গোপন বৈঠক করছিলো। ফরিদুল জেএমবি’র একজন উচ্চপর্যায়ের সদস্য। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, ‘হাই কমান্ডের নির্দেশে আটককৃত এসব নারী জেএমবিরা ‘ফিদায়ী হিজরত’ বা ‘আত্মঘাতী’ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে জব্দ কম্পিউটার থেকে তথ্য পাওয়া যায়, বিভিন্ন চাইনিজ ও জাপানি কুংফু-কারাতের ছবি দেখে এরা নিজেরাই শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ নিতো। তাদের সকলের শরীরে টাইম বোমা যুক্ত করে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল এদের প্ররোচনাকারীদের। ভাল ঘরে বিয়ে ও সংসার ধর্ম পালনের পর এরা আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে কাফের, মুসরেক ও মুরতাদ হত্যা করে অনায়াশেই বেহেস্তে প্রবেশ করবে, এমন বিশ্বাসে এদের সংগঠিত করা হয় বলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা নাশকতার ঘটনা ঘটায়, তারাই এদের অনুসারী বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। ’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ জুলাই সিরাজগঞ্জ শহরের মাছুমপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চার নারী সদস্যকে আটক করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তারা জেএমবি’র সদস্য সংগ্রহেরও চেষ্টা করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।  সংগঠনের হাইকমান্ডের নির্দেশ পেলেই তারা আত্মঘাতী হামলার উদ্দেশ্যে নিজেদের সমর্পণ করতো। তাদের জেলা ডিবি অফিসে এনে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।