সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন সাকিবের জ্যামাইকা২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর বাংলাদেশকে অনেক সাফল্যই এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছেন পুরো ক্রিকেটবিশ্বের। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক সাফল্যে ব্যাপক অবদান রাখার স্বীকৃতিও পেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে জাতীয় ক্রীড়া পদক গ্রহণ করেছেন সাকিব।

২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জন্য মোট ৩২ জন ক্রীড়াবিদকে মনোনীত করা হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পদকের জন্য। সাকিব এই পুরস্কার জিতেছেন ২০১২ সালের জন্য। সাকিব ছাড়াও এবার এই পদক উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের হাতে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর পদক দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালকে।

দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করতে ১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পদক চালু করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৮৮ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব এ পদক পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ক্রিকেটার। সাকিবের আগে আইসিসি ট্রফিজয়ী ক্যাপ্টেন আকরাম খান ১৯৯৮ সালে পদক পান। মোহাম্মদ রফিক জাতীয় পদক পেয়েছিলেন ২০০৬ সালে। আর ২০১১ ও ২০১২ সালের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন খালেদ মাসুদ ও সাকিব।

২০১০ সালের জাতীয় ক্রীড়া পদক বিজয়ীরা হলেন : হারুন-উর-রশীদ (সুইমিং), আতিকুর রহমান (শুটিং), মাহমুদা বেগম (অ্যাথলেট), দেওয়ান মো. নজরুল ইসলাম (জিমন্যাস্টিক), মিজানুর রহমান মানু (সংগঠক), এ এস এম আলী কবির (সংগঠক), মো. তকবির হোসেন (সুইমিং, মরণোত্তর), ফরিদ খান চৌধুরী (অ্যাথলেট), নেলি জেসমিন (অ্যাথলেট) ও নিপা বোস (অ্যাথলেটিকস, অটিস্টিক)।

২০১১ সালের পদক বিজয়ীরা হলেন : রওশন আরা ছবি (জিমন্যাস্টিক), মো. কাঞ্চন আলী (বক্সিং), মো. আশরাফ আলী (রেসলিং), হেলেনা খান ইভা (ভলিবল), খালেদ মাসুদ পাইলট (ক্রিকেট), রবিউল ইসলাম (বডিবল্ডিং), জুম্মন লুসাই (হকি), কুতুবুদ্দিন মোহাম্মদ আকসির (সংগঠক), আশিকুর রহমান মিকু (সংগঠক) এবং শহীদ শেখ কামাল (অ্যাথলেটিকস এবং সংগঠক, মরণোত্তর)।

২০১২ সালের পদক বিজয়ীরা হলেন : সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), মো. মহসিন (ফুটবল), খুরশীদ বাবুল (ফুটবল), আশীষ ভদ্র (ফুটবল), আবদুল গাফ্ফার (ফুটবল), সত্যজিৎ দাস রুপু (ফুটবল), ফিরোজা খাতুন (অ্যাথলেটিকস), নাজিয়া আকতার যূথি (ব্যাডমিন্টন), কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল (সংগঠক), মামুনুর রশিদ (হকি), সালমা রফিক (সংগঠক, মরণোত্তর) ও নুরুল আলম চৌধুরী (সংগঠক)।