নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২০১৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির নেতাদের বৈঠকে মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসেন।শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং শিক্ষক নেতারা এতে উপস্থিত রয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো সমস্যার হঠাৎ সমাধান করা যায় না। ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে ২৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা ২০১৬-২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কেরানীগঞ্জে ২৫ বিঘা জমির ওপর ১০ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ছাত্রী হোস্টেলকে ১৭ তলা ও একাডেমিক ভবনকে ২০ তলায় উন্নীত করা হবে।পাশাপাশি পরবর্তীতে ঝিলমিল ও পূর্বাচল এলাকায় নতুন জায়গা খোঁজা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।আবাসিক হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর জবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় ১০-তলা বিশিষ্ট একটি হল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ওই হলে এক হাজার ছাত্র থাকতে পারবেন। এ ছাড়া ছাত্রীদের জন্য নির্মাণাধীন হলের কাজ চলছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেরানীগঞ্জে ওই হল নির্মাণ করা ও জমি কেনাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ২৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। এটা এখন অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। ২০২০ সালের মধ্যে এই প্রকল্পটি শেষ করা যাবে বলে মন্ত্রী আশা করেন।তবে পুরান ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারের খালি জায়গায় হল নির্মাণের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারের ওই জমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের না। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের জায়গা। এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করার কিছু নেই। সেটা সরকার বিবেচনা করবে কি নাÑতা সরকারের বিষয়।শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আরও উদ্যোগ নেবে। এর আগেও জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একবার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। তখনই চিন্তা করা হয়েছিল যে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্প বা পূর্বাচলে অখ- জমি পেলে একাডেমিক ভবন ও হল নির্মাণ করা যাবে। এ জন্য আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে জাতীয় চার নেতার নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হল এবং কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।