আগামী ১১ সেপ্টেম্বর রোববার পালিত হবে পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক্, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ—‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ এই ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওইদিন মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন তারা। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন। বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন মানুষ এবারের হজের জন্য সৌদি আরবে গেছেন। পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সারা দেশে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। এটি মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই দিন মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা পশু কুরবানি করে থাকে। পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সারা দেশে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে
এর আগে, বাদ মাগরিব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করবেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখে উৎসব ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ১২ সেপ্টেম্বর ঈদুল আযহা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।